ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হিন্দু ধর্মে পূজিত হন (Ganesh Puja Ritual) তেত্রিশ কোটি দেব-দেবী। তেত্রিশ কোটির অর্থ তেত্রিশ ধরণের দেব-দেবী। আর এই প্রত্যেক পুজোর সঙ্গে জড়িত থাকে নানা ধরনের নিয়ম ও রীতি। তেমনই, গণেশ পুজোর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ নিয়ম রয়েছে, তা হল তুলসীপাতা গণেশের পুজোয় দেওয়া হয় না। এই বিষয়টি অনেকেরই অজানা, তবে এর পিছনে একটি পুরাণগাঁথা রয়েছে যা এই নিয়মের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে।
দেবী লক্ষ্মীর বাণী (Ganesh Puja Ritual)
পুরাণ অনুযায়ী, একদিন দেবী লক্ষ্মী এবং দেবী সরস্বতী (Ganesh Puja Ritual) একত্রে বসে আছেন। তাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল এবং দেবী সরস্বতী বলছিলেন যে, তুলসীপাতা সমস্ত দেবতাদের কাছে প্রিয়। কিন্তু দেবী লক্ষ্মী এসময় মুচকি হেসে বলেছিলেন, “তুলসীপাতা শুধু ভগবান শিবের প্রিয়। তা ছাড়া অন্য কোনও দেবতার পুজোয় এই পাতার ব্যবহার হয়নি।”
গণেশের জন্মকাহিনী (Ganesh Puja Ritual)
গণেশের জন্ম কাহিনিতে একটি উল্লেখযোগ্য (Ganesh Puja) ঘটনা ঘটেছিল। একদিন পার্বতী মা, নিজের গায়ের ময়লা দিয়ে গণেশের গঠন করেছিলেন। গণেশকে পাহারায় রেখে মা পার্বতী স্নানের জন্য গিয়েছিলেন। এরপর মহাদেব ভেতরে যেতে চাইলে গণেশ তাঁকে বাধা দেয়। সংঘর্ষ বাঁধে শিব ও গণেশের মধ্যে। সেই সংঘর্ষের শেষে শিব জয়লাভ করেন এবং নিজের ত্রিশূল দিয়ে গণেশের মাথা কেটে ফেলেন। পরে, শিব তাঁর মাথার পরিবর্তে হাতির মাথা দিয়ে দেবতা গণেশকে পুনরায় জীবিত করেন।
আরও পড়ুন: Gaya Pindadaan: গয়ার পিণ্ডদানের পুণ্যফল কী? জানুন গয়ার পুরাণগাঁথা
শিব নন্দন গণেশ
এই থেকেই প্রমাণিত হয় যে, গণেশ শিবের পুত্র। তাই, গণেশের পুজোয় তুলসীপাতা দেওয়া হয় না। কারণ তুলসী শিবের প্রিয়, তবে গণেশের মধ্যে শিবের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে এই নিয়মটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রথা থেকে বোঝা যায় যে, তুলসীপাতার শিবের প্রতি বিশেষ স্থান রয়েছে এবং এই কারণে তা গণেশের পুজোয় ব্যবহার করা হয় না।

গণেশ পুজোয় ফল
গণেশের পুজোয় প্রধানত নরম জাতীয় ফল, মিষ্টান্ন, কলা, কুমুদিনী ফুল ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহৃত হয়। লাড্ডু এবং মোদক গণেশের ভীষণ প্রিয়। মুষকরাজ হলেন শিবের বাহন। তুলসী পাতা গণেশের পুজোয় না দেওয়ার প্রথাটি এই ধরণের বিশেষ নিয়মের অংশ, যা প্রতিটি দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের পরিচায়ক।