ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কথিত আছে যা কিছু শুভ তার সূচনা করার আগে দেবতা গণেশের (Ganesh Puja) আশীর্বাদ নিতে হয়। তাই তো বাঙালির নতুন বছর শুরুর আগে করা হয় গণেশ পূজা। তাছাড়া গণেশ চতুর্থীর দিনও ভারতের বহু জায়গায় গণেশের পুজো করা হয়। এছাড়াও, প্রতি বুধবার গণেশ দেবতার পুজো করা উচিত। দেবতা গণেশ হলেন সুখদাতা ও বিপদের ত্রাতা। ভক্তিভরে গণেশের পুজো করলে জীবনে আসে সমৃদ্ধি, দূর হয় সকল বিঘ্ন।
গণেশ পুজোর বিধি (Ganesh Puja)
গণেশ পুজো শুরু করার আগে, মন্দির পরিষ্কার ও শুদ্ধ করা (Ganesh Puja) প্রয়োজন। একটি পবিত্র জায়গায় একটি চট বা আসন বিছিয়ে তাতে গণেশের মূর্তি বা ছবি স্থাপন করা হয়। মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার পর মন্ত্রোচ্চারণ ও প্রার্থনার মাধ্যমে পুজো শুরু হয়।
জানুন পুজোর মন্ত্র (Ganesh Puja)
- ১. স্নান ও শুদ্ধি: গণেশের মূর্তি (Ganesh Puja) বা ছবি প্রতিষ্ঠা করার আগে তার শরীরকে জল দিয়ে শুদ্ধ করা হয়।
- ২. আবাহন মন্ত্র: গণেশের মূর্তির সামনে একটি ধূপ জ্বালিয়ে, “ওঁ গনেশায় নমঃ” মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়।
- ৩. পঞ্চোপচার পুজো: এখানে পাঁচটি প্রধান উপাদান – জল, ফুল, মিষ্টান্ন, ফল, ও ধূপ ইত্যাদি থাকে। এগুলোই পুজোয় নিবেদন করা হয়।
- ৪. অর্ঘ্য নিবেদন: মিষ্টি প্রসাদের মধ্যে লাডু, মোদক, নারকেল ইত্যাদি গণেশকে নিবেদন করা হয়, কারণ গণেশ এই ধরণের খাবার খেতে খুব পছন্দ করেন।
- ৫. প্রসাদ বিতরণ: শেষে মন্ত্রপূত ধূপ, (Ganesh Puja) আলো এবং অর্পিত খাদ্য প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়।

স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে গণেশ পুজো
গণেশ পুজোর ইতিহাস প্রাচীন, তবে এই পুজোর ব্যাপক প্রচলন মূলত অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসনকালে শুরু হয়। বলা হয়ে থাকে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলক গণেশ পুজোকে জনমানসে জনপ্রিয় করতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি গণেশ পুজোকে একটি জাতীয় উৎসব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন, যাতে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য মানুষকে একত্রিত করা যায়। পূর্বকালে গণেশ পুজো ছিল মূলত ঘরোয়া এবং পারিবারিক অনুষ্ঠান। কিন্তু তিলকের উদ্যোগে তা বৃহত্তর জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। গণেশ পুজো এখন শুধু ধর্মীয় আচার নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: Netaji Subhas Chandra Bose: স্মরণে নেতাজি, ‘কুলদেবতা’ হিসেবে পূজিত হন সুভাষ