ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রতিটি প্রজন্মেরই বেশ কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে (Generation Names)। আর এই বৈশিষ্ট্য গুলির জন্যই একটি প্রজন্ম আর একটি প্রজন্মের থেকে আলাদা। তাদের চিন্তা ভাবনা থেকে আচার-আচরণ সব কিছুই আলাদা হয়। আর এই জন্যই প্রত্যেক ১০০ থাকে ১২০ বছর সময়কে বেশ কয়েকটি জেনারেশনে ভাগ করা হয়।
গত ১০০ বছরের ৮ প্রজন্ম (Generation Names)
গত ১০০ থেকে ১২০ বছর সময়ের মধ্যে পার হয়ে গেছে প্রায় ৮টি জেনারেশন (Generation Names)। এই ৮টি জেনারেশনের প্রত্যেকটির কিছু আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রত্যেকটি জেনারেশনেই কিছু আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ ছিল। চলুন দেখে নিই গত ১২০ বছরের ৮ টি জেনারেশন ও তাদের চ্যালেঞ্জ গুলি কী কী?
গ্রেটেস্ট জেনারেশন (Generation Names)
গত ১০০ থেকে ১২০ বছরে পার হয়েছে মোট ৮টি প্রজন্ম (Generation Names)। এই ৮টি প্রজন্মের মধ্যে প্রথমটি হল গ্রেটেস্ট জেনারেশন। এই জেনারেশনের প্রত্যেককেই ১৯০১ সাল ১৯২৭ সালের মধ্যে নিজেদের শৈশব পার করেছেন। এই জেনারেশনের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই সময়ে শুরু হয়েছিল প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ। এই প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ব্যাপক আর্থিক মন্দা ও বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের উত্তেজনার পরিবেশ ছিল। এই জেনারেশনের কাছে ছিল ঔপনিবেশিক অত্যাচারের মতো সমস্যাও।
সাইলেন্ট জেনারেশন (Generation Names)
দ্বিতীয় জেনারেশনটি হল,সাইলেন্ট জেনারেশন। এই জেনারেশনের প্রত্যেকেই ১৯২৬ সাল থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে শৈশব পার করেছেন। এই প্রজন্মের কাছে ছিল বহু সম্ভবনা। কেননা এই প্রজন্মেই বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হয়েছে। শুরু হয়েছিল আধুনিকতার। তবে এই প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতার লড়াই।
আরও পড়ুন: Benefits Of Green Beans: কেন রোজ খাদ্য তালিকায় সবুজ বিনস রাখবেন? দেখে নিন বিনসের উপকারিতা
বেবি বুমার’স
এর পরের জেনারেশনটি হল বেবি বুমার’স। এই প্রজন্মের প্রত্যেকেই ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে নিজেদের শৈশব পার করেছেন। এই প্রজন্মেও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি ও শক্তির লড়াই শুরু হয়েছিল এই প্রজন্মের থেকেই।
জেনারেশন এক্স
এর পরের জেনারেশনটি হল জেনারেশন এক্স।এই প্রজন্মের প্রত্যেকে ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে নিজেদের শৈশব পার করেছেন। এই প্রজন্মের কাছে ছিল বহু কৌশল। যার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবন শুরু হয়েছিল।
জেনারেশন ওয়াই
এর পরের জেনারেশনটি হল ‘জেনারেশন ওয়াই’। এই জেনারেশন নিজেরদের শৈশব পার করেছে ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে। এই জেনারেশনকে মিলিনিয়র জেনারেশন বলা হয়। এই জেনারেশন ব্যবসা ও প্রকৌশলের দিক থেকে অনেক বড় বড় মেইল স্টোন পার করেছে।
আরও পড়ুন: Drinks for Indigestion: হজমে সমস্যা? খান এই পাঁচটি ড্রিঙ্ক
‘জেন-জি’
এর পরের জেনারেশনটি হল জেনারেশন জি বা জেন-জি। যারা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে নিজেদের শৈশব পার করেছেন হল এই জেনারেশন জি। জেন-জি নিজেদের শৈশবেই প্রযুক্তি হাতে পেয়ে গিয়ে ছিল। ‘জেন-জি’দের মধ্যে সকলেই প্রযুক্তির উপভোক্তা। কিন্তু,তাঁর পরেও এই প্রজন্মের উদ্ভাবনী ও কৌশল আগের প্রজন্ম গুলির মতো নয়। যে কারণে বর্তমানে ‘জেন-জি’ ছেলে মেয়েরা বহু সমস্যার মধ্যে রয়েছে। যেমন- এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের মধ্যে ডিপ্রেশন বেশি, কর্ম ক্ষমতা কম।এমনি বহু ক্ষমতায় ভুগছে এই জেনারেশনটি।
জেনারেশন আলফা
এই জেনারেশনটি ‘জেন-জি’-এর পরের জেনারেশন। এই জেনারেশনটি ২০১২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নিজেদের শৈশব পার করেছে। এই জেনারেশনটি এখনও শেষ হয়নি। কবে এই জেনারেশনটি শেষ হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে এই জেনারেশনটি জন্মের পর থেকেই প্রযুক্তিকে হাতে পেয়েছে। তাই এদের জীবনের অনেক কিছু প্রযুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত।
জেনারেশন বিটা
এবছর থেকে শুরু হচ্ছে পরবর্তী আরো একটি নতুন জেনারেশন। যার নাম দেওয়া হয়েছে জেনারেশন বিটা। এই নতুন জেনারেশনের শুরু হয়েছে ২০২৫ সাল থেকে। আনুমানিক ২০৩৯ সাল পর্যন্ত এই প্রজন্ম চলবে বলে জানানো হয়েছে।