ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে এক (Ghibli Art) অদ্ভুত কার্টুন স্টাইলের ছবি ভাইরাল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে আম আদমি পর্যন্ত সবাই পোস্ট করছেন নিজেদের ‘ঘিবলি’ ভার্সন। কিন্তু এই ঘিবলি আসলে কী? কেনই বা এটি এত জনপ্রিয় হলো?
ঘিবলির উৎস (Ghibli Art)
ঘিবলি স্টুডিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৫ সালে জাপানে, হায়াও মিয়াজাকির (Ghibli Art) হাত ধরে। মিয়াজাকি ইতালীয় ‘ক্যাপ্রোনি কা.৩০৯’ বিমানের নাম থেকে এই নামটি নেন, যা সাহারা মরুভূমিতে নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হত। ঘিবলি শব্দের আরবি অর্থ ‘মরুভূমির উত্তপ্ত হাওয়া’ – যা স্টুডিওর সৃজনশীলতার সাথে মিলে যায়।
কীভাবে এত জনপ্রিয় হল?
ঘিবলি স্টুডিওর তৈরি ‘স্পিরিটেড অ্যাওয়ে’ প্রথম নন-ইংলিশ অ্যানিমেশন ফিল্ম হিসেবে অস্কার জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করে। ২০২৪ সালে তাদের ‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন’ সেরা অ্যানিমেশন ফিল্মের পুরস্কার পায়। কিন্তু সাম্প্রতিক জনপ্রিয়তার কারণ চ্যাটজিপিটির নতুন ফিচার, যেখানে ব্যবহারকারীরা নিজেদের ছবিকে ঘিবলি স্টাইলে রূপান্তর করতে পারেন।

ভারতীয় সংস্কৃতিতে ঘিবলি
ভারতীয় সিনেমার আইকনিক দৃশ্য যেমন ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’ বা ‘বাহুবলী’-এর ঘিবলি ভার্সন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এমনকি সত্যজিত রায়ের চরিত্র ফেলুদা বা হীরক রাজারও ঘিবলি আর্ট তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: CAG Report: বিধানসভায় পেশ হবে পরিবেশ দূষণ ও DTC নিয়ে CAG রিপোর্ট
কেন এত ট্রেন্ডি?
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘিবলি আর্টের সরল রেখা ও উজ্জ্বল রং আমাদের শিশুসুলভ আবেগকে জাগ্রত করে। এআই টুলসের সহজলভ্যতা এই ট্রেন্ডকে আরো ছড়িয়ে দিয়েছে। চ্যাটজিপিটির সিইও স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেছেন, ঘিবলি ফিল্টার তাদের সার্ভার চাপিয়ে দিয়েছে!