ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে(Barrackpore) ঘটে গেল এক জঘন্যতম ঘটনা। টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সে সময় তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
অনুষ্ঠান চলায় শোনা যায়নি চিৎকার (Barrackpore)
বারাকপুরের(Barrackpore) জাফরপুর স্কুলপাড়া এলাকার বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় টিউশন পড়তে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, ফেরার পথে শুভজিৎ বিশ্বাস নামে প্রতিবেশী এক যুবক নাবালিকার পথ আটকায়। প্রতিবেশী হওয়ায় প্রথমে ওই ছাত্রী কিছু বুঝতে পারেনি। এরপর তাকে জোর করে এলাকারই একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই শুভজিৎ নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে দাবি নির্যাতিতার। যুবকের হাত থেকে বাঁচতে আর্তনাদ করে নাবালিকা। কিন্তু এলাকায় একটি অনুষ্ঠান হওয়ায় তার চিৎকার কারও কান পর্যন্ত পৌঁছয়নি।
পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায় (Barrackpore)
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবেশী যুবক সে আগেও ওই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে উত্যক্ত করেছিল(Barrackpore)। তখন ওই ছাত্রী বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়েছিল। এবার ওই প্রতিবেশী যুবক পরিকল্পনা করেই নাবালিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর পথ আটকায়। তখন সে টিউশন থেকে ফিরছিল। প্রতিবেশী হওয়ায় প্রথমে ওই ছাত্রী কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। তারপর তাকে জোর করে এলাকারই একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: National Integration Camp: জাতীয় সংহতি শিবিরে পশ্চিমবঙ্গের স্বেচ্ছাসেবকদের সফল অংশগ্রহণ
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ
ঘটনার পর নির্যাতিতা ছাত্রীকে ওখানে ফেলে দিয়ে পালায় অভিযুক্ত। তারপর কোনওরকমে বাড়ি ফেরে নির্যাতিতা ছাত্রী। আর বিধ্বস্ত অবস্থায় ঘরে ঢুকেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। এই পরিস্থিতি দেখেই সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। জ্ঞান ফিরিয়ে আনতে জল ছিটানো হয়। আর জ্ঞান ফেরার সঙ্গে সঙ্গে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী পরিবারের সদস্যদেরকে বলে দেয় গোটা ঘটনা। তখনই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ(Barrackpore)। যুবক অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
‘আমার মেয়ে কাকা ডাকে’
নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমার চোদ্দ বছরের মেয়ে। আমি কাজে গিয়েছিলাম। আর মেয়ে টিউশনে গিয়েছিল। আর যেই ছেলেটা ওর সঙ্গে এইসব করেছে তাকে আমার মেয়ে কাকা ডাকে। ওর জোর করে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি চাইছি ওই অভিযুক্তের যেন ফাঁসি হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমি ওকে বলেছিলাম পড়া হয়ে গেলে ওইখানেই থাকতে। কিন্তু ওর পায়খানা পেয়েছিল। সেই কারণে বাড়ি আসে। তারপর আবার পড়তে যায়। তখনই এই কাজ করে।”