ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সম্প্রতি রাজস্থান থেকে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে (Women Trafficking)। জানা গেছে গরিব পরিবার থেকে মেয়েদের ‘কিনে’ চড়া দামে বিক্রি করা হত হবু পাত্রদের কাছে। রাজস্থানের একটি ‘স্বেচ্ছাসেবী’ সংস্থার এই বেচাকেনার কাহিনি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ রাজস্থানের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ডেরায় হানা দেয়। সেখান থেকে গ্রেফতার করেছে ওই সংস্থার প্রধান গায়ত্রী বিশ্বকর্মা নামক এক মহিলাকে।
ভাল পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে থাকে (Women Trafficking)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের জয়পুর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বসসি এলাকার সুজনপুরা গ্রামে ওই সংস্থার ডেরা। সংস্থাটির নাম ‘গায়ত্রী সর্বসমাজ ফাউন্ডেশন’। গ্রামবাসীরা জানতেন ওই সংস্থা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরিব মেয়েদের উদ্ধার করে ভাল পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে থাকে (Women Trafficking)। কিন্তু সামনে এলো এক ভয়ঙ্কর তথ্য। যা নিয়ে আতঙ্কে ওই এলাকার বাসিন্দারা।
মোটা টাকায় বিক্রি করে দিতেন (Women Trafficking)
সংস্থাটির নাম গায়ত্রী সর্বসমাজ ফাউন্ডেশন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অবশ্য জানতে পেরেছে, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্য থেকে গরিব মেয়েদের কিনে নিয়ে আসতেন ওই সংস্থার কর্মীরা (Women Trafficking)। তার পর তাঁদের বিয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকায় বিক্রি করে দিতেন হবু পাত্রদের কাছে।
প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দামে বিক্রি
গায়ের রং, উচ্চতা দেখে স্থির হত পাত্রীর দাম। এক এক জন মেয়েকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দামে বিক্রি করা হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। নাবালিকাদের ‘বিবাহযোগ্য’ হিসাবে দেখানোর জন্য তৈরি করা হত নকল আধার কার্ডও। গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের এক নাবালিকা ওই সংস্থার ডেরা থেকে পালিয়ে থানায় যায়। কোনও রকমে ওই সংস্থার খপ্পর থেকে পালিয়ে আসে একটি মেয়ে। থানায় এসে পুলিশকে গোটা ঘটনার কথা জানায় ১৬ বছরের ওই কিশোরী।
মালিক এবং তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার
অভিযোগের ভিত্তিতে সংস্থার অফিসে গিয়ে মালিক গায়ত্রী এবং তাঁর তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, সংস্থার অফিসটি গ্রামের শেষ প্রান্তে হওয়ায় এত কিছু তাঁদের গোচরে আসেনি। ফলে সেখানে কী ঘটছে জানতে পারেনি গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেফতার করে সংস্থার প্রধান গায়ত্রী বিশ্বকর্মাকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনাটির তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।