ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: লুটনিক বলেছেন যে এই কার্ডটি (Gold Card Visa Date) মার্কিন সরকারের EB-5 অভিবাসী বিনিয়োগকারী ভিসা প্রোগ্রামের পরিবর্ত হিসেবে কাজ করবে। এই পদ্ধতি বিদেশী নাগরিকদের গ্রিন কার্ড প্রদান করে যারা দেশে ১.৮ মিলিয়ন ডলার বা মনোনীত অর্থনৈতিকভাবে সংকটাপন্ন এলাকায় ৯০০,০০০ ডলার বিনিয়োগ করে।
‘ট্রাম্প কার্ড ডট গভ’-এর মাধ্যমে শুরু হবে রেজিস্ট্রেশন (Gold Card Visa Date)
আমেরিকার বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ধনী বিদেশিরা ‘গোল্ড কার্ড’ নামে এক বিশেষ ভিসা প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন (Gold Card Visa Date)। এই ভিসা প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে আমেরিকান নাগরিকত্ব পাওয়ার সুবিধা মিলবে।
লুটনিক বলেন, “আমি আশা করি, প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে ‘ট্রাম্প কার্ড ডট গভ’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু হবে। এরপরই বিস্তারিত জানানো হবে। তবে লোকেরা তখন থেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।” তিনি জানান, এই গোল্ড কার্ড ভিসা প্রোগ্রামটি মূলত বর্তমান EB-5 ইমিগ্রান্ট ইনভেস্টর ভিসার বিকল্প হিসাবে আসছে। বর্তমানে EB-5 ভিসার আওতায় একজন বিদেশি যদি আমেরিকায় ১.৮ মিলিয়ন ডলার বা নির্দিষ্ট অনুন্নত অঞ্চলে ৯ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করেন, তবে তাঁকে গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়।
ওয়েস্ট এশিয়ায় বিক্রি শুরু হয়েছে ‘গোল্ড কার্ড’ (Gold Card Visa Date)
লুটনিক দাবি করেছেন, ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট এশিয়া সফরের সময় এই কার্ড বিক্রি শুরু হয়েছে (Gold Card Visa Date)। তিনি বলেন, “আমি যাদেরই দেখা করছি, যারা আমেরিকান নন এবং আর্থিক ক্ষমতা রাখেন, তারা সকলেই এই কার্ড কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন।”
‘গোল্ড কার্ড’ কী?
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে EB-5 ভিসা প্রোগ্রামের জায়গায় এক নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ চালু হবে, যেটি কিনতে হলে দিতে হবে ৫ মিলিয়ন ডলার। এই কার্ড কিনলেই মিলবে আমেরিকান গ্রিন কার্ড সুবিধা এবং নাগরিকত্বের পথ খুলে যাবে।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা গোল্ড কার্ড বিক্রি করব। এর দাম হবে আনুমানিক ৫ মিলিয়ন ডলার।” তিনি আরও জানান, “এই কার্ডের মাধ্যমে গ্রিন কার্ড সুবিধা দেওয়া হবে এবং ধনী মানুষদের আমেরিকায় বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের সুযোগ করে দেওয়া হবে।” বিস্তারিত পরিকল্পনা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
‘গোল্ড কার্ড’ প্রকল্পের কাজ চলছে প্রযুক্তিগতভাবে
এই গোল্ড কার্ড প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কো এলেজ এবং এডওয়ার্ড কোরিস্টাইন, যাঁরা এলন মাস্কের ‘ডোজ’ প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ভিসা এবং ইমিগ্রেশন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: India Pakistan Tensions : জল বন্ধ করলে নিঃশ্বাস বন্ধ করে দেবো! জঙ্গিদের সুরেই হুমকি পাক সেনা কর্তার
আলাদা ব্যবস্থা
ডোজ প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়াররা এই গোল্ড কার্ড ব্যবস্থাকে প্রচলিত ভিসা প্রক্রিয়া থেকে আলাদা করার কাজ করছেন। তাঁদের লক্ষ্য, উচ্চ মূল্যের আবেদনকারীদের জন্য ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা। এই কার্ডের আবেদনকারীরা যেন আবেদন করার দুই সপ্তাহের মধ্যেই বসবাসের অনুমতি পান, তার জন্য ইন্টারভিউ, ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের মতো বিষয়গুলিকে দ্রুততর করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, আমেরিকায় ধনী বিদেশিদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন একটি রাস্তা খুলে যাচ্ছে। তবে এই ‘গোল্ড কার্ড’ ঘিরে বিতর্ক এবং নীতিগত প্রশ্নও উঠতে পারে আগামী দিনে।