ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অক্ষয় তৃতীয়ার ঠিক আগে সোনার বাজারে (Gold Rate Today) বড়সড় পরিবর্তন। গতকাল লক্ষ্মীবারে হঠাৎ করে দাম চড়ে গেলেও আজ, ২৫ এপ্রিল শুক্রবার, সেই তুলনায় অনেকটাই নেমে এসেছে সোনার মূল্য। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তি পেয়েছেন সোনা কেনার পরিকল্পনায় থাকা বহু গ্রাহক।
বাংলায় সোনার বিক্রির মরসুম (Gold Rate Today)
এই সময়টা বাংলায় সোনার বিক্রির মরসুম (Gold Rate Today) বলা চলে। বৈশাখ মাস জুড়েই সোনার দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ে। বিশেষত অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে সোনা কেনাকে অত্যন্ত শুভ মনে করেন অনেকে। এবছর ৩০ এপ্রিল পড়েছে সেই দিনটি। ফলে স্বর্ণ বিপণিগুলিতে এখন থেকেই অফার, ছাড়, এবং মেকিং চার্জে নানা আকর্ষণ শুরু হয়ে গেছে।
সোনার লাগামছাড়া দাম! (Gold Rate Today)
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সোনার লাগামছাড়া দামে চিন্তিত (Gold Rate Today) ছিলেন অনেকে। কলকাতায় নিখাদ সোনার দাম প্রায় ১ লক্ষ টাকা ছুঁই ছুঁই, গয়নার সোনার দরও ৯০ হাজারের ঘর পেরিয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজকের দরপতন অনেক ক্রেতার মুখে হাসি ফিরিয়েছে।
আজকের সোনার দাম (২৫ এপ্রিল, ২০২৫) অনুযায়ী,
- ২৪ ক্যারেট (ফাইন গোল্ড ৯৯৫) সোনার প্রতি গ্রামের দাম ৯,৫৭৫ টাকা।
- ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে গেলে প্রতি গ্রামে ৯,০৯৫ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
- ২২ ক্যারেট সোনা বিক্রি করলে মিলছে ৮,৭১৩ টাকা প্রতি গ্রাম।
- ১৮ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি গ্রাম ৭,৪৭০ টাকা।
- রুপোর দামও উল্ল্যেখযোগ্য — প্রতি কেজি রুপো (৯৯৯ বিশুদ্ধতা) বিক্রি হচ্ছে ৯৮,৬৮৫ টাকায়।
এই পরিস্থিতিতে যারা অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তাদের কাছে এটি বড় সুযোগ হতে পারে। তবে সোনা কেনা বা বিক্রির আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক মাথায় রাখা জরুরি।
সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই করুন
২৪ ক্যারেট সোনা ৯৯.৯% খাঁটি হলেও গয়না তৈরির ক্ষেত্রে মূলত ২২ ক্যারেট (৯২% খাঁটি) বা তার কম ক্যারেটের সোনা ব্যবহৃত হয়। ১৮ ও ১৪ ক্যারেটে যথাক্রমে ৭৫% ও ৫৮.৩৩% খাঁটি সোনা থাকে।
হলমার্ক দেখে কিনুন
গয়নাতে হলমার্ক থাকা বাধ্যতামূলক। BIS স্ট্যাম্প, জুয়েলার্সের শনাক্তকরণ চিহ্ন, তৈরির সাল এবং ক্যারেট উল্লেখ থাকে এতে। এটি গয়নার বিশুদ্ধতা ও মান যাচাইয়ের অন্যতম ভরসাযোগ্য উপায়।
বিগত কয়েক দশক ধরে রাজ্যের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত ‘স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি’ এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে চলেছে। বর্তমান কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর কুমার দে জানিয়েছেন, উৎসবের মরসুমে যেন ক্রেতারা নিরাপদ ও স্বচ্ছ লেনদেন করেন, তার জন্য দোকানিরাও সতর্ক থাকছেন।