ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন রাজনীতিতে ফের চমক দিলেন প্রাক্তন ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Golden Dome)। দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হওয়ার প্রস্তাব দিলেন—এবং তার সঙ্গে যুক্ত এক আকর্ষণীয় প্রলোভনও রাখলেন। ট্রাম্পের ঘোষণা, যদি কানাডা আমেরিকার ৫১তম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হতে রাজি হয়, তবে তাকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে ‘গোল্ডেন ডোম’ নামক অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘গোল্ডেন ডোম’ (Golden Dome)
জনগণকে চমকে দিয়ে ট্রাম্প (Donald J. Trump) দাবি করেন, এই ‘গোল্ডেন ডোম’ হবে এমন এক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, যা বিশ্বে প্রথম (Golden Dome)। এটি মহাকাশ-ভিত্তিক ইনফ্রারেড লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে হাইপারসনিক, ব্যালেস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, “যদি কানাডা আমাদের প্রদেশ হয়, তবে তাদের জন্য এটি থাকবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আর যদি না হয়, তবে এই প্রযুক্তি কিনতে তাদের গুনতে হবে ৬১০০ কোটি মার্কিন ডলার।”
কানাডার মিশ্র প্রতিক্রিয়া (Golden Dome)
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা(Golden Dome)। অনেক বিশ্লেষক একে একাধারে কূটনৈতিক চাপ, আবার অন্যদিকে কৌশলী ব্যবসায়িক প্রস্তাব বলেও দেখছেন। তবে কানাডার প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত মিশ্র। কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন মার্ক কার্নির নাম, যদিও বাস্তবে বর্তমানে এই পদে আছেন জাস্টিন ট্রুডো। এ নিয়ে বিভ্রান্তিও ছড়িয়েছে। ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, কার্নি নাকি ‘গোল্ডেন ডোম’-এর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং এ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে। যদিও কানাডার পক্ষে এমন কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনও আসেনি।

আরও পড়ুন:Kamal Haasan : রাজ্যসভায় পা রাখতে চলেছেন কমল হাসন, ডিএমকের সমর্থনে সংসদীয় রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ!
দেশের সার্বভৌমত্ব অটুট (Golden Dome)
কার্নি দাবি করেছেন, “কানাডা সবসময়ই সর্বোচ্চ মানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চায়, তবে দেশের সার্বভৌমত্ব অটুট রাখাই আমাদের অগ্রাধিকার(Golden Dome)। কোনও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাই যেন সেই সার্বভৌমত্বের ক্ষতি না করে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এমন প্রস্তাব বাস্তবে রূপ নেবে কি না, তা সময়ই বলবে। কারণ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে কোনও দেশের এমনভাবে অন্য একটি দেশের প্রদেশে পরিণত হওয়া একাধারে জটিল, সংবেদনশীল এবং বিরল ঘটনা। পাশাপাশি ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পের খরচ এবং বাস্তবায়নযোগ্যতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। মার্কিন কংগ্রেসের বাজেট অফিসের মতে, প্রকৃত খরচ ট্রাম্পের অনুমানের তুলনায় অনেক বেশি হতে পারে।

আরও পড়ুন:Fatima Payman : অস্ট্রেলিয়ার প্রথম এবং কনিষ্ঠ হিজাব পরিহিতা সেনেটর-কে হেনস্তার অভিযোগ!
আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল (Golden Dome)
তবু একথা নিশ্চিত যে, এই প্রস্তাব ঘিরে আবারও আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে গেছে(Golden Dome)। এটি কেবল যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্ককেই নয়, বরং গোটা ন্যাটো জোট ও উত্তর আমেরিকার ভূরাজনৈতিক মানচিত্রকেই নাড়িয়ে দিতে পারে।ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বাস্তবিক চুক্তির দিকে এগোয় কিনা, তা আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাসে পরিষ্কার হবে। তবে তার এই ঘোষণাই প্রমাণ করে, ২০২৫ সালে তাঁর শাসনকালও আগের মতোই আলোচিত, বিতর্কিত এবং রাজনৈতিকভাবে বিস্ফোরক হতে চলেছে।