ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনের পর সিনিয়র হামাস (Hamas) নেতা খলিল আল-হায়া বলেছেন, ৭ অক্টোবরের ইজরায়েলে হামলা প্যালেস্তিনীয়দের জন্য গর্বের প্রতীক হয়ে থাকবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের (Hamas) নেতৃত্বে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি সমুদ্র, স্থল ও আকাশপথে ইজরায়েলে আক্রমণ চালায়। কয়েকদিনের এই তাণ্ডবে তারা প্রায় ১,২০০ জনকে হত্যা করে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করে এবং ২৫১ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইজরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে, যার ফলে হামাসের নেতৃত্বের মৃত্যু হয় এবং গাজার বড় অংশ ধ্বংস হয়ে যায়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও বন্দিমুক্তি (Hamas)
কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় দীর্ঘ এক বছরের আলোচনার পর বুধবার ইজরায়েল এবং হামাস (Hamas) একটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তিতে পৌঁছায়। এই চুক্তির কয়েক ঘণ্টা পর, হামাসের পক্ষ থেকে প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া এই চুক্তিকে ইজরায়েলের পরাজয় বলে ঘোষণা করেন এবং ইজরায়েলের ধ্বংসের প্রতি হামাসের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
“৭ অক্টোবরের হামলা চিরকাল গর্বের কারণ থাকবে” (Hamas)
ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এই সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রসঙ্গে আল-হায়া (Hamas) বলেন, “এই হামলা চিরকাল আমাদের জনগণের জন্য গর্বের প্রতীক হয়ে থাকবে।”
আল-হায়া এই চুক্তিকে “ঐতিহাসিক মুহূর্ত” এবং ইজরায়েলের পরাজয় বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “আমাদের জনগণ দখলদারদের ঘোষণা করা এবং গোপন লক্ষ্য ব্যর্থ করেছে। আজ আমরা প্রমাণ করেছি যে দখলদাররা কখনো আমাদের জনগণ এবং তাদের প্রতিরোধকে পরাজিত করতে পারবে না।”
ইসরায়েলের ধ্বংসের অঙ্গীকার
৭ অক্টোবরের হামলাকে “সামরিক সাফল্য” এবং “গর্বের কারণ” বলে উল্লেখ করে আল-হায়া বলেন, “আমাদের জনগণ দখলদারদের আমাদের জমি এবং জেরুজালেম থেকে যত দ্রুত সম্ভব বিতাড়িত করবে।”
আরও পড়ুন: Hindenburg Research: ভেঙে দেওয়া হচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ, বড় ঘোষণা ন্যাথান অ্যান্ডারসনের
হামাস এবং তাদের মিত্র ইরান ইজরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার স্বীকার করে না এবং ইজরায়েলের ধ্বংসে বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।
গাজার বর্তমান পরিস্থিতি
যুদ্ধের শুরুতে হামাসের (Hamas) অধিকাংশ যোদ্ধা নিহত ও হাজার হাজার যোদ্ধা বন্দি হলেও হামাস এখনো সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস নিহত যোদ্ধাদের প্রায় সকলকে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করেছে।
গাজায় কোনও কার্যকর প্রশাসন বা পুলিশের অভাব এবং ইজরায়েলের তরফে কোনও অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন না করার কারণে হামাস এখনো পরোক্ষভাবে গাজার বড় অংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।