ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মহাকুম্ভে (MahaKumbh) দেখা গেল সবচেয়ে সুন্দরী সাধ্বীকে (Harsha Richhariya)। দেখে তো সবাই ফিদা। একঢাল চুল, টানা টানা চোখ। বয়স বেশি নয়, বড় জোর ৩০। চাইলেই বলিউডে এন্ট্রি নিতে পারেন। টেক্কা দিতে পারেন বলিউডি সুন্দরীদের। কিন্তু না, তিনি তা করলেন না। বরং বেছে নিলেন ধর্ম-কর্মকে। যে মেয়ে ইস্ট্রাগ্রামে ছোট পোশাক পরে নাচত, ভিডিও করত, তার এমন কি হল ? মুখে এখন সব সময় জয় শ্রীরাম, কিংবা হর হর মহাদেব।
আসল পরিচয় (Harsha Richhariya)
ইনি হর্ষা রিচারিয়া (Harsha Richhariya)। বলা ভালো, সোশ্যাল মিডিয়ার নতুন ঝড়। মধ্যপ্রদেশের মেয়ে, এখন থাকেন উত্তরাখন্ডে। সম্প্রতি নানান ভিডিওতে কখনও তুলসী পূজনের কথা বলছেন, কখনও সনাতন ধর্ম নিয়ে কথা বলছেন। আর এখন তো হাজির সোজা কুম্ভ মেলায়। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, কপালে হলুদ। সবাইকে বলছেন, মহাকুম্ভের গুরুত্বের কথা। মহারাজের পাশে বসে ধর্মের বাণী প্রচার করছেন। কেনই বা হঠাৎ করে ধর্মপথে এলেন?
সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট প্রভাবশালী (Harsha Richhariya)
অনেকে দেখে আবার বলছে, কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে । তবে সবার মুখে মুখে ঘুরছে, মহাকুম্ভে ইনি সবচেয়ে সুন্দরী সাধ্বী। প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ। কোটি কোটি মানুষের ভিড়ে হর্ষা রিচারিয়াকে (Harsha Richhariya) সবাই দেখছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট প্রভাবশালী। প্রচুর ফ্যান ফলোয়ার্স রয়েছে। ইনস্টা ফেসবুক ঘাঁটলেই দেখতে পাবেন, ইনি পেশায় একজন অ্যাঙ্কর অর্থাৎ সঞ্চালিকা। একটা সময় ইনস্টাতে ছোটখাটো পোশাক পড়ে ভিউজের ঝড় তুলেছিলেন।
আরও পড়ুন: Sonu Sood: সোনু সুদের থেকে ‘দাবাং’ চুরি করেছেন সলমন! প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য
বদলে গিয়েছে জীবন
তবে গত দু বছরে বদলে গেছে তার জীবন। মহাকুম্ভের মহাস্নানে গিয়ে হাজির হলেন গেরুয়া পোশাকে সাধু সন্তের মতো। সবাইকে বলছেন, মহাকুম্ভের মাহাত্ম্যের কথা, ত্যাগ এবং মানব কল্যাণের কথা। মহাকুম্ভে আসার আগে হর্ষা ধর্মীয় বিষয়ে নানান ভিডিও পোস্ট করেছেন। অথচ এই হর্ষাকে কখনও দেখা গিয়েছে জনপ্রিয় হিন্দি গানের তালে নাচতে, কখনও খোলামেলা পোশাকে ইনস্টা মুডে ছবি পোস্ট করতে। অনেকেই এই ইনস্টা গার্ল অ্যাঙ্করকে মহাকুম্ভের সাধ্বীর সাথে ঠিক মেলাতে পারছেন না।
হর্ষা নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন
হর্ষা মনে করেন, ১৪৪ বছরে বিরল সংযোগ, মহাকুম্ভের এই শাহীস্নান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন , এই ভেবে যে , স্বচক্ষে এমন অমৃত সময় দেখতে পাচ্ছেন। শুধু হিন্দু নয়, বহু ধর্মসহ বহু দেশের মানুষ জড়ো হয়েছেন মহাকুম্ভে। যারা ভিড়ের জন্য, ভাবছেন মহাকুম্ভে যাবেন না, তাদের জন্য হর্ষার বার্তা। জীবনে যখন একবার এমন সৌভাগ্য পেয়েছেন। তখন সেটা হাতছাড়া করা উচিত নয়। এটা অমৃত উৎসব। বড় ভাগ্য করে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: Basanti Chatterjee: ভেঙেছে পাঁজরের হাড়, ভুগছেন একাধিক রোগে, বাসন্তিদেবীর জন্য আর্জি ভাস্বরের

হর্ষা কি সত্যি সন্ন্যাসিনী?
হর্ষা কি সত্যি সন্ন্যাসিনী? এমনই একটা প্রশ্নে তিনি জানিয়েছেন, “কে বলেছে আমি সন্ন্যাস নিয়েছি?” বেশভূষা দেখে কেনইবা এমন মনে হচ্ছে? মাথায় জটা, গলায় রুদ্রাক্ষ এর মালা থাকলেই কি সন্ন্যাসী হয়? হর্ষার কথায়, যখন আপনার মনে কোনও কিছু নিয়ে শ্রদ্ধা বেড়ে যাবে, তখন আপনি যে কোনও ভাবে সাজতে পারেন। গত দুবছর ধরে তিনি এই রূপে সাজতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রফেশনের কারণে সাজতে পারছিলেন না। এই যে এখন তিনি ভাইরাল হয়েছেন, এমনও নয়। তিনি প্রথম থেকেই ভাইরাল ছিলেন। তার পিছনে বড় অবদান রয়েছে মিডিয়ার। তবে একটা বড় প্লাস পয়েন্ট হল, যেভাবে থাকতে চাইছিলেন, ঠিক সেভাবেই এখন থাকছেন। সন্ন্যাসিনীর বেশ তার পছন্দের।