Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আরব সাগরে তেল ও রাসায়নিকবোঝাই লাইবেরিয়ান পণ্যবাহী জাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় কেরল উপকূলজুড়ে ছড়িয়েছে চরম উদ্বেগ (Hazardous Cargo Capsizes)। রবিবার থেকে ডুবতে থাকা এই জাহাজটি থেকে জ্বালানি তেল ও বিপজ্জনক রাসায়নিক কন্টেনার সমুদ্রে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব কেরলের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য—দুয়ের ওপরই মারাত্মক হতে পারে।
কী ঘটেছে? (Hazardous Cargo Capsizes)
জাহাজটিতে মোট ৬৪০টি কন্টেনার ছিল। এর মধ্যে ১২টিতে ছিল দাহ্য ও বিষাক্ত রাসায়নিক ক্যালশিয়াম কার্বাইড (Hazardous Cargo Capsizes)। এছাড়া ছিল প্রায় ৮৪.৪৪ মেট্রিক টন ডিজেল এবং ৩৬৭ মেট্রিক টন অন্যান্য জ্বালানি তেল। জাহাজ ডুবতে শুরু করলে ২৪ জন নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করা গেলেও, জাহাজের পেট চিরে একের পর এক কন্টেনার বেরিয়ে জলের তোড়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। সোমবার সকালে কোল্লম এবং আলাপুঝা উপকূলবর্তী অঞ্চলে কয়েকটি কন্টেনার ভেসে আসতে দেখা যায়।
সরকারি সতর্কতা ও বিপদের সম্ভাবনা(Hazardous Cargo Capsizes)
কেরল সরকার (Kerala Government) অবিলম্বে নতুন সতর্কতা জারি (Hazardous Cargo Capsizes) করেছে:
- কন্টেনার বা তার কোনও অংশ উপকূলের কাছে এলে, ২০০ মিটারের মধ্যে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের।
- মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, এবং ভাসমান কন্টেনার বা তেলের অস্তিত্ব নজরে এলেই প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কী বিপদ হতে পারে ক্যালশিয়াম কার্বাইড থেকে?
- ক্যালশিয়াম কার্বাইড জলে মিশলে তৈরি করে অ্যাসিটিলিন গ্যাস, যা অত্যন্ত দাহ্য ও বিষাক্ত (Hazardous Cargo Capsizes)।
- এটি জলজ প্রাণীর শ্বাসপ্রশ্বাসে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, মাছ-মৃত্যু ও প্রবাল প্রাচীর ধ্বংসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
- তেলের সঙ্গে মিশে গেলে এই রাসায়নিকের বিস্তার আরও দ্রুত হয় এবং সমুদ্রজুড়ে এক অদৃশ্য বিষাক্ত চাদর তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুন: US Tariff War : ৫০ শতাংশ করের হুমকি পেয়ে ট্রাম্পকে ফোন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টের !
দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা (Hazardous Cargo Capsizes)
- উপকূলরক্ষী বাহিনী ইতিমধ্যেই দূষণরোধী বিশেষ জাহাজ মোতায়েন করেছে (Hazardous Cargo Capsizes)।
- আকাশপথে নজরদারির জন্য পাঠানো হয়েছে ‘অয়েল স্পিল ট্র্যাকিং’-এর ক্ষমতাসম্পন্ন বিমান।
- ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশন ইনফরমেশন সার্ভিস’ (INCOIS) জানিয়েছে, সমুদ্র থেকে উপকূলে তেল ও রাসায়নিক পৌঁছতে ৩৬–৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

উপকূলবাসীদের জন্য করণীয় (Hazardous Cargo Capsizes)
- কোনও ভাসমান বস্তু, তরল বা কন্টেনার দেখলেই কাছাকাছি না যাওয়া (Hazardous Cargo Capsizes)।
- সমুদ্রস্নান ও মাছ ধরা সাময়িকভাবে এড়িয়ে চলা।
- স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলা এবং যেকোনো অস্বাভাবিকতা সঙ্গে সঙ্গে জানানো।
জাহাজ ডুবির ঘটনা কেবলই সমুদ্রযাত্রা সংক্রান্ত বিপর্যয় নয়—এটি প্রকৃতি, জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য তীব্র হুমকি। সঠিক সময়ে সতর্কতা ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া না হলে দক্ষিণ ভারতের উপকূলে বড় দূষণ বিপর্যয় ঘটতে পারে, যার প্রভাব আগামী বহু মাস ধরে টের পাওয়া যাবে।