ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০১৬ সালের প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা শুনলো না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি সৌমেন সেন। তিনি মামলা পাঠালেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে (Primary Scam)।
হল না শুনানি (Primary Scam)
২০১৬ সালের প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি হলো না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে (Primary Scam)। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি সৌমেন সেন। মামলাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি সৌমেন সেন।
২০২৩ সালের ১২ মে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকে প্রথমে ৩৬ হাজার পরে সংশোধন করে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলাকারীদের দাবি ছিল, আদালতের নির্দেশে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে সেই তালিকায় তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন (Primary Scam)। তারপরই গোটা প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। এই সংক্রান্ত অপর একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৪২ হাজার চাকরির প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মামলাটিতে বর্তমানে সুপ্রিমকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: SSC 2016 Panel Cancel: বাতিল সম্পূর্ণ নিয়োগপ্রক্রিয়া, বেতন ফেরত দিতে হবে কাদের এবং কারা দেবেন না?
বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, চাকরি বাতিল হলেও চার মাস তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন (Primary Scam)। বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসাবে। রাজ্যকে আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে। যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন। নিয়োগ না পেয়ে অপ্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী প্রিয়াঙ্কা নস্কর-সহ ১৪০ জন হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলাকারীরা সকলেই অপ্রশিক্ষিত।