ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হাওড়া জেলায় তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষাসেলের সাধারণ সম্পাদক তথা শিক্ষক নেতা সিরাজুল ইসলামের চাকরি বরখাস্তের (Fire TMC Leader) নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন ওই শিক্ষক নেতা। তাই কোনভাবেই তিনি চাকরিতে থাকতে পারেন না বলেন নির্দেশ আদালতের। বুধবার থেকেই আদালতের এই নির্দেশ কার্যকর হবে বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি মান্থা।
সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ (Fire TMC Leader)
সম্প্রতি তৃণমূলের হাওড়া মাধ্যমিক শিক্ষা সেলের সাধারণ সম্পাদকের পদে বসা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২০০১ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছিল (Fire TMC Leader)। কিন্তু তারপরেও তিনি চাকরিতে বহাল ছিলেন। এবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। গত ১৩ মার্চ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সেই মামলার শুনানিও হয়।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: পুলিশের প্রহারে মৃত্যু বৃদ্ধার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ পরিবার

শ্লীলতাহানির অভিযোগের পর নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার বিষয়টিও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সিরাজুলকে শিক্ষা সংক্রান্ত পদে নিয়োগ করা হল, তা জানতে চায় আদালত। কেন সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলে পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের নির্দেশের পরই সিরাজুলের (Fire TMC Leader) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: বিচারপতির পরিচয়ে তোলাবাজি, অবশেষে গ্রেফতার
সেই এফআইআর-এর প্রভাব যাতে তাঁর চাকরিতে না পড়ে, সেই আবেদন জানিয়ে আবারও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক নেতা সিরাজুল ইসলাম। বুধবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। শুনানিতে সপ পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মান্থা জানিয়ে দেন, সিরাজুল ইসলামের শিক্ষক পদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই আজ থেকে অর্থাৎ বুধবার থেকেই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। আর এই নির্দেশ আজ অর্থাৎ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। ফলে চাকরি বাঁচাতে এসে চাকরি (Fire TMC Leader) খোয়ালেন তৃণমূলের শিক্ষক নেতা।