ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : বসন্তের খামখেয়ালি আবহাওয়া (Health Tips)। দিনের বেলা তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে, রাতের দিকে আবার ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এই সময় সর্দি-কাশি ও অন্যান্য মৌসুমি রোগের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য এই সময়টা খুব ঝুঁকিপূর্ণ (Health Tips)। তবে সিজন চেঞ্জ-এর এই সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা যেতে পারে যাতে ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে।
নাক-মুখ ঢেকে রাখা অপরিহার্য (Health Tips)
এ সময় সর্দি-কাশি হওয়ার প্রধান কারণ হলো বাহ্যিক জীবাণু। তাই রাস্তায় বেরোনোর সময়, ভিড় এলাকায় গেলে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা অত্যন্ত জরুরি (Health Tips)। মাস্ক পরা এবং হাত ধোয়ার অভ্যাস নিয়মিত করতে হবে। তাতে সহজেই জীবাণু শরীরে প্রবেশের ঝুঁকি কমবে।
ভোরবেলা হাঁটতে গেলে সাবধানতা (Health Tips)
বিকেল বা সন্ধ্যায় হাঁটার তুলনায় ভোরবেলা হাঁটার সময় বাতাসে ধুলিকণা ও দূষণের পরিমাণ বেশি থাকে। এই সময় আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ক্ষতিকারক পদার্থ শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই ভোরবেলা হাঁটা অভ্যাস থাকলে এই মরসুমে তা কমিয়ে দেওয়া উচিত (Health Tips)।
লাফিং ক্লাস থেকে দূরে থাকুন
কৃত্রিমভাবে হাসার ফলে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে জলকণা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। টাই এই সময় এ ধরনের শারীরিক ক্লাসে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকাই উচিত, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমে।
পাখা ও এসি ব্যবহারে সতর্কতা
গরম থেকে ঠান্ডা পরিবেশে চলে গেলে বা দীর্ঘক্ষণ এসি বা পাখা চালানোর পর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে প্রবেশ করলে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়াও পাখা বা এসি চালানোর আগে তা পরিষ্কার করুন। নাহলে পাখা বা এসিতে জমে থাকা ধূলিকণা শরীরে প্রবেশ করে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভুগছেন? এই উপায়গুলিতে মন হবে চনমনে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
ঋতু পরিবর্তনের সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাইট্রাস ফল যেমন কমলা, লেবু এবং পাতিলেবু নিয়মিত খেলে ভিটামিন সি (Vitamin C ) এর মাধ্যমে শরীর সর্দি-কাশি থেকে মুক্ত থাকে। একইভাবে ব্রকোলি, বাদাম, পেঁপে ইত্যাদি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
আরও পড়ুন : ভুলেও ঠাণ্ডা করে খাবেন না এই খাবার গুলো, হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সতর্কতা
জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে অযথা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। অ্যান্টিবায়োটিক কেবল তখনই প্রয়োজন যখন কফের রঙ গাঢ় হলুদ বা সবুজ হয়ে যায় অথবা জ্বর ৫ দিনের বেশি স্থায়ী হয়। সাধারণত প্যারাসিটামল ও অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধই যথেষ্ট।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)