ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রখর রোদের তাপে জ্বলছে বাংলা। সকাল হতেই মাথার উপর কার্যত জ্বলন্ত আগুন, রাস্তায় বেরোলেই শরীর যেন ঝলসে উঠছে (Heatwave in Bengal)। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪০ ডিগ্রিতে। দুপুর গড়াতেই উত্তপ্ত লু যেন ধেয়ে আসছে। এমন অবস্থায় আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে শীঘ্রই মিলতে পারে কিছুটা স্বস্তি। ঘূর্ণিঝড় নয় তবে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গে কমবে তাপমাত্রা? (Heatwave in Bengal)
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের সাত জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। কলকাতা ও তার আশেপাশের জেলাগুলির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী ২–৩ দিনের মধ্যে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Heatwave Alert: কোথাও বৃষ্টি, কোথাও তাপপ্রবাহ! কেমন থাকবে বঙ্গের আবহাওয়া?
ফলে আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের শেষে কিছুটা হলেও গরমের তীব্রতা (Heatwave in Bengal) কমার সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এছাড়াও দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায়ও রয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দফতরের মতে, উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি, যা কিছুটা হলেও তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা দেবে। তবে সতর্কতা হিসাবে খোলা জায়গায় বেশি সময় না কাটানো এবং আবহাওয়া অনুযায়ী প্রস্তুতি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Tiranga Yatra: অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে ‘তেরঙ্গা যাত্রা’ পদ্মশিবিরের, শুক্রবার পথে নামবে বঙ্গ বিজেপি
স্বস্তির খোঁজে বঙ্গবাসী (Heatwave in Bengal)
বর্তমান গরমে পথে বেরনোর সময় রোদ চশমা, ছাতা ও হালকা জামাকাপড়ই একমাত্র ভরসা। অনেকেই বলছেন, এ বছর গরম যেন কিছুটা বেশি তীব্র (Heatwave in Bengal)। তীব্র রোদের কারণে বাচ্চা থেকে বয়স্ক—সবারই নাজেহাল অবস্থা।
এই পরিস্থিতিতে হাওয়া অফিসের এই বৃষ্টির পূর্বাভাস কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে। এখন দেখার, বাস্তবে কবে বর্ষা বা প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি এসে স্বস্তি এনে দেয় রাজ্যবাসীকে।