ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চিনের রাজধানী বেজিং গত (Heavy Rain in China) কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই বৃষ্টির জেরে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শহরের বেশ কিছু এলাকা জলের তলায় চলে যাওয়ায় বহু মানুষ ঘরছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন। সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইম্স’ জানিয়েছে, রাজধানীর নিম্নাঞ্চল থেকে প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
খারাপ অবস্থা (Heavy Rain in China)
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা তৈরি হয়েছে বেজিংয়ের মিয়ুন এবং ইয়াংকিং (Heavy Rain in China) জেলায়। আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বুধবার থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত শহরে মোট ১৬৫.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে মিয়ুন জেলার কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় ৫০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ বর্ষণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এক ঘণ্টার মধ্যে ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি (Heavy Rain in China)
সোমবার রাতে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে শহরের কিছু অংশে প্রায় ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, যার ফলে হঠাৎ জলস্তর বেড়ে যায় এবং হড়পা বান ও ধসের আশঙ্কা তৈরি হয়। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, ফলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা
বৃষ্টির ফলে শহরের অবকাঠামোর উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বেজিং শহরের অন্তত ৩১টি প্রধান ও উপ-রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও দ্রুততার সঙ্গে কিছু রাস্তা মেরামত করা হয়েছে, তবে এখনও ১৬টি রাস্তায় যান চলাচল পুরোপুরি ব্যাহত। লাগাতার বৃষ্টির কারণে মেরামতির কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানোর চেষ্টা
এর পাশাপাশি, শহরের আশেপাশের গ্রামীণ অঞ্চলেও পরিস্থিতি জটিল। বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধাক্কা লেগেছে। বেজিং সংলগ্ন ১৩৬টি গ্রামের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, সড়ক পরিষেবা পুনরুদ্ধার এবং দুর্গত এলাকাগুলিতে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দ করেছে চিনের কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: Kavi Subhash Metro: ফাটল ধরেছে পিলারে, অনির্দিষ্টকালের জন্য কবি সুভাষ স্টেশনে বন্ধ পরিষেবা!
চিনের জাতীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং সবরকম সহায়তা প্রদান করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাগাতার বৃষ্টির পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও অস্বীকার করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, তা নির্ভর করছে আগামী কয়েক দিনের আবহাওয়ার উপর।