ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় (Hero Electric Cycle) গত কয়েকদিন ধরে একটি বিস্ময়কর খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে। হিরো মোটোকর্প নাকি বাজারে আনছে একটি ইলেকট্রিক সাইকেল, যার দাম মাত্র ৪,৯৯৯ টাকা এবং এক চার্জে চলবে ১৭০ কিমি পর্যন্ত। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর শোনার পর অনেকেই রীতিমতো রোমাঞ্চিত। কেউ কেউ তো হিসেব করে দেখিয়েছেন, এই সাইকেল নিয়ে নবান্ন থেকে দিঘা পৌঁছনোও সম্ভব!
খবরের ভিত্তি কতটা সত্যি? (Hero Electric Cycle)
খোঁজখবর করে দেখা গেছে, হিরো মোটোকর্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (Hero Electric Cycle) এই ধরনের কোনও ঘোষণা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সংস্থার তরফে এই মুহূর্তে এমন কোনও ই-সাইকেল লঞ্চ হওয়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এমনকি “Hero Electric” নামে যে আলাদা সংস্থা ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরি করে, তারাও এই খবরের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে জানা গেছে।
হিরো সাইকেলস-এর কোনো উদ্যোগ? (Hero Electric Cycle)
তাহলে কি এটা হিরো সাইকেলস-এর কোনো উদ্যোগ? সেদিকেও নজর দেওয়া (Hero Electric Cycle) হয়েছে। কিন্তু হিরো সাইকেল কোম্পানির ওয়েবসাইটেও এমন কোনও কম দামের ইলেকট্রিক সাইকেলের অস্তিত্ব নেই। বর্তমানে তাদের যে ই-বাইকগুলি রয়েছে, তার দাম শুরু হচ্ছে প্রায় ২৪ হাজার টাকা থেকে এবং সেগুলোর রেঞ্জ সাধারণত ৪০ কিমির আশেপাশে।

প্রযুক্তির এক নতুন বিপ্লব!
তথ্য বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে, ৫ হাজার টাকায় ১৭০ কিমি রেঞ্জ বর্তমান প্রযুক্তি ও বাজারদরের প্রেক্ষাপটে এই দাবিটি অবাস্তব। কারণ ব্যাটারির খরচ, মোটরের মূল্য, ফ্রেম এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ মিলিয়ে এত কম দামে এমন পারফরম্যান্স পাওয়া সম্ভব নয়। আর যদি এইরকম কিছু প্রকৃতপক্ষে তৈরি হয়ও, তা হলে সেটি নিঃসন্দেহে প্রযুক্তির এক নতুন বিপ্লব হবে।

তবে এই গুজবের উৎস কোথা থেকে?
অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো ছবি বা সম্পূর্ণ মনগড়া ফিচার দিয়ে বানানো কনটেন্ট ভাইরাল হয়ে যায়। সেটাই সম্ভবত এখানে ঘটেছে। কারণ কোনও নামী সংস্থার পক্ষ থেকে এত বড় ঘোষণার আগে তারা প্রাথমিকভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ওয়েবসাইট আপডেট বা সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা করে থাকে।

আরও পড়ুন: Health Alert: চায়ের সঙ্গে শিঙাড়া? সরকারের নতুন নির্দেশ, সাবধান হোন এখনই!
সব মিলিয়ে এখনই হিরোর এই “চমৎকার” ইলেকট্রিক সাইকেলের স্বপ্নে বিভোর হওয়ার কারণ নেই। যদিও ভবিষ্যতে যদি এমন কোনও সাশ্রয়ী, দীর্ঘ রেঞ্জের ই-সাইকেল বাজারে আসে, তবে তা নিঃসন্দেহে পরিবেশবান্ধব ও খরচ সাশ্রয়ী যাতায়াতে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। ততদিন পর্যন্ত, এই গুজবকে গুজব হিসেবেই ধরে নেওয়াই ভালো।