Last Updated on [modified_date_only] by Sumana Bera
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হোটেল মালিক আকাশ চাওলা ও হোটেলের ম্যানেজার গৌরভ কাপুরকে গ্রেফতার করল জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। দু’জনকেই ঘটনার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না (Burrabazar Fire)। আজ সকালে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। দুজনের বিরুদ্ধেই একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। বৃহস্পতিবার দুজনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে হোটেল মালিক ও ম্যানেজারকে ৮ই মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ড (Burrabazar Fire)
বড়বাজারের মেছুয়াবাজার ফলপট্টির ‘ঋতুরাজ হোটেলে’ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল ১৪ জনের। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ আগুন লাগে এই ঘিঞ্জি এলাকার হোটেলে (Deadly Fire)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ জন ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান, আর একজন প্রাণ বাঁচাতে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ হারান। এই ঘটনার জেরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন (Burrabazar Fire)। ছিল কি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা? কেন এত সংখ্যক মানুষ আটকে পড়লেন একটি হোটেলে, যেখানে একটিমাত্র সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা সম্ভব?
গ্রেফতার হোটেল মালিক ও ম্যানেজার (Burrabazar Fire)
ঘটনার পর থেকেই হোটেল মালিক আকাশ চাওলা ও ম্যানেজার গৌরভ কাপুর পলাতক ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েও তাদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। (Burrabazar Fire) অবশেষে শনিবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উত্তর কলকাতার এক এলাকা থেকে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তদন্তে গতি আনতে এবং ঘটনার পেছনের প্রকৃত কারণ জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। এজন্য তাদের হেফাজতে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধেই একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। বৃহস্পতিবার দুজনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে হোটেল মালিক ও ম্যানেজারকে ৮ই মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
আরও পড়ুন: SIT Investigation: কী ভাবে আগুন লাগল? অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির পর সিট গঠন পুলিশের
ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও জোরদার হয়েছে (Burrabazar Fire)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের গাফিলতি ছিল। ঘটনা ঘটার পরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, “এই ঘটনা ঘটেছে, কারণ গোটা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার তিন দিনের ছুটি কাটাতে দিঘায় চলে গিয়েছে।”