ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফের আবাস যোজনায় দুর্নীতি (Housing Scheme Corruption)! পেশায় শিক্ষক, রয়েছে দ্বোতলা পাকা বাড়ি, তবুও তাঁর স্ত্রীর নামে বরাদ্দ আবাস যোজনার ঘর। শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পুরসভা এলাকায়।
একজন স্কুল শিক্ষক তথা তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councilor), যার আছে দ্বোতলা বাড়ি, তিনি কী করে পেলেন আবাস যোজনার ঘর? উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান (Municipal Chairman)।
রাজ্যে আবাস যোজনা দুর্নীতি (Housing Scheme Corruption)
আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির (Housing Scheme Corruption) অভিযোগ রাজ্যে নতুন কোনো বিষয় নয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেই আবাস দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে, নাম জড়িয়েছে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের। টাকার বিনিময়ে আবাসের তালিকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার অভিযোগে সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। বিষয়টি চাউর হতেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলায় জেলায় ময়দানে নেমেছেন জেলাশাসক ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে সুপার সার্ভে (Super Survey)। তবুও থেমে নেই আবাস যোজনায় দুর্নীতির (Housing Scheme Corruption) অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Ayan Sil: নিয়োগ দুর্নীতিতে শর্তসাপেক্ষে জামিন অয়ন শীলের, কিন্তু এখনই নয় জেলমুক্তি
আবাসের ঘর স্কুল শিক্ষকের (Residential House Of School Teacher)
এতদিন আবাস যোজনায় দুর্নীতির (Corruption In Housing Scheme) অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু একজন স্কুল শিক্ষক (School Teacher), যার দ্বোতালা বাড়ি রয়েছে, তাঁর স্ত্রীর নামে বরাদ্দ হয়েছে আবাস যোজনার ঘর। সেই শিক্ষক, আবার শাসক দলের কাউন্সিলর (TMC Councilor)! ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পুরসভা এলাকায়। ইতিমধ্যে রামজীবনপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভু দাসের বাড়ির কাজও শুরু হয়েছে, আর সেই কাজ শুরু হতেই শোরগোল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার নেতাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে না পারায় মেলেনি আবাসের বাড়ি। অথচ যাঁদের পাকা বড় বাড়ি রয়েছে, তারাই সরকারি বাড়ি পেয়েছেন।যদিও তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভু দাসের সাফাই, সার্ভের পর নিয়ম মেনেই চলছে কাজ।
তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির
ঘটনায় পাল্টা তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে ছাড়েনি বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি যারা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তাঁদের ভাগ্যেই জোটেনি আবাস যোজনার বাড়ি (Awas Yojana House)। বাড়ি পাচ্ছে শুধু তৃণমূলের নেতারাই। এমনকি বহু আগে আবাসের বাড়ি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পৌরসভা ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।
আরও পড়ুন: Egg Price: আলুর ডিমের আকাশ ছোঁয়া দাম, নাভিশ্বাস উঠল মধ্যবিত্তের, কেন মূল্যবৃদ্ধি?
পাল্টা সরব পুরসভার চেয়ারম্যান (Chairman Of Municipality)
এই দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে পাল্টা সরব হয়েছেন রামজীবনপুর পুরসভার (Ramjivanpur Municipality) চেয়ারম্যান কল্যাণ তিওয়ারি। সমস্তটাই বিরোধী দলের (Opposition Party) অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সকলেই ঘর পেয়েছেন এবং পাবেন, আশ্বাস চেয়ারম্যানের।
গৃহহীনরা পাবে ঘর ?
বারে বারে পুরসভায় জানিয়েও সরকারী বাড়ি মেলেনি গরিব মানুষজনের। ভাঙ্গাচোরা বাড়িতে ত্রিপল টাঙিয়ে অনেকের চলছে বসবাস। অথচ একজন স্কুল শিক্ষক, যার আছে দ্বোতলা বাড়ি, তিনি কী করে পেলেন আবাস যোজনার ঘর ? শাসক নেতা বলে? উঠছে প্রশ্ন।