ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আবারও আবাস যোজনায়(Awas Yojana) বাড়ির টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাওয়ার অভিযোগ। নাম বিভ্রাটে বিপাকে সরকারি আবাস যোজনার দুই বেনিফিসিয়ারি! একজনের মঞ্জুর হওয়ার টাকা ঢুকল একই নামের অন্যের অ্যাকাউন্টে । তাও আবার পাশাপাশি বাড়ি। ঘটনা নদিয়ার(Nadia) শান্তিপুরের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের আলুই পাড়ার।
নাম ‘বিভ্রাট’ !(Awas Yojana)
সরকারি আবাস যোজনার(Awas Yojana) ৬০ হাজার টাকা মঞ্জুর হল একজনের নামে, আর তা ঢুকল একই নামের অন্য অ্যাকাউন্টে! এক্ষেত্রে যিনি টাকা পেয়েছেন তারও গৃহ আবাস যোজনায় অর্থ অনুদান মঞ্জুর হয়েছে। তাই খুব সংগত কারণেই তিনিও যোগ্য প্রাপক, তাই ভেবেছেন তার টাকাই ঢুকেছে, যদিও আইডি আলাদা, বাবার নামও আলাদা।
আবাস যোজনার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে(Awas Yojana)
জানা গিয়েছে, আবাস যোজনার(Awas Yojana) টাকা ঢুকেছে নির্মল মণ্ডলের একাউন্টে। যার বাবা লালমোহন মন্ডল। তবে তাঁর ছিল দ্বিতীয় দফায় টাকা ঢোকার কথা থাকলেও সময়ের আগেই তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে। অন্যদিকে প্রথম দফায় টাকা পাওয়ার কথা নির্মল মন্ডল। যার বাবার নাম মুকুন্দ মন্ডল। প্রশাসনের সামান্য ভুলে এখন দুশ্চিন্তায় দুই বেনিফিসিয়ারিই। বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েও এখনো মেলেনি কোনও সুরাহা। এত বড় ভুল কার গাফিলতিতে হল এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : Fishermen Torture: বাংলাদেশে নৃশংস নির্যাতনের শিকার মৎস্যজীবীরা, ১ মৎস্যজীবীকে খুনের অভিযোগ
দুশ্চিন্তায় দুই বেনিফিসিয়ারি!
টাকা প্রাপক নির্মল মন্ডল জানান, ”তার কাছে এখনো আসেনি কোনো নির্দেশ আসেনি সরকারি টাকা ফেরতের। প্রতিবেশী নির্মল মন্ডল এই টাকার দাবিদার কিনা তাও তিনি জানেন না ।”অন্যদিকে নাম মঞ্জুর হয়েও টাকা না পাওয়া নির্মল মণ্ডল জানান, ”প্রাপক টাকা সরকারকে ফেরত দেবে, সরকার সেই টাকা তাঁকে পাঠাতে আদৌ কতদিন, কত মাস, সময় লাগবে তা জানা নেই তার।’
আরও পড়ুন : RG Kar Case: আরজি কর ধর্ষণ-খুনের বিচার শেষ, ১৮ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণা
গ্রাম্য বিবাদ, মন কষাকষি পঞ্চায়েত সদস্যর সঙ্গেও। ব্লক অফিস থেকে সমাধানের ইঙ্গিত দিলেও সরকারি টাকা ফেরত দেওয়া এবং তা পুনরায় সঠিক অ্যাকাউন্টে পাঠানোতে কত মাসে বছর তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দুই পরিবার। ইতিমধ্যেই কেটে গেছে এক মাস। একজন টাকা পাওয়ার দুশ্চিন্তায়। অন্যজন পেয়েও ফেরতের সরকারি নির্দেশের প্রতীক্ষায়। এই সমস্যায় শীঘ্রই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল সদস্যের স্বামী।
শীঘ্রই সরকারি অনুদানের আশ্বাস
নামের বিভ্রাটে ভোগান্তি প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল সদস্যের স্বামী ব্রজবাসী মন্ডল জানান, ”সরকারি অফিস থেকে সমস্ত তত্ত্বাবধান হয়েছে এক্ষেত্রে যদি ভুলভ্রান্তি কিছু হয়ে থাকে তার দায়-দায়িত্ব অবশ্যই তাদেরই। তবে দুজনেই এলাকার যোগ্য প্রাপক, তাই দুজনকেই শীঘ্রই সরকারি অনুদান দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে বিডিওকে।”