ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ধূমপান(Smoking), এক সময়ে ফ্যাশনের প্রতীক হলেও এখন তা হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্যঝুঁকির মূল উৎস। দিনে একটি সিগারেটও শরীরের ক্ষতি করতে পারে, বলছেন চিকিৎসকরা। তবুও শহরের বড় অংশের মানুষ ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না। শুধু পুরুষ নয়, এই অভ্যাস এখন তরুণ প্রজন্ম ও মহিলাদের মধ্যেও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। তবে একটু সচেতনতা আর নিয়ম মেনে চললেই ধূমপানের মত মারাত্মক অভ্যাস থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ধূমপান কেবল ফুসফুস নয়, নষ্ট করে পুরো জীবনধারা(Smoking)
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান(Smoking) সরাসরি ক্যানসার, হৃদরোগ, ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসের ক্ষয়, স্ট্রোক এবং বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে। কিন্তু শারীরিক সমস্যা ছাড়াও ধূমপান প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্য, ঘুম, ত্বক এবং এমনকি সম্পর্কের উপরেও। ধূমপায়ীরা সাধারণত বেশি স্ট্রেসে ভোগেন, উদ্বেগের মাত্রাও বেশি থাকে।

তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বাড়ছে কেন?(Smoking)
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধূমপানের(Quit Smoking) প্রতি আসক্তি বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া, স্ট্রেসফুল লাইফস্টাইল এবং “কুল” ভাবনার কারণে। অনেকেই এটি মানসিক চাপ কমানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু পরিণামে এটি শরীরের উপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন: Chikungunya: দুই দশক পর ফের আতঙ্কের নাম ‘চিকুনগুনিয়া’, উদ্বেগে WHO!
ধূমপান ছাড়ার প্রথম ধাপ—মানসিক প্রস্তুতি
ধূমপান ছাড়তে চাইলে আগে মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা জরুরি। ‘আজ না, কাল থেকে’ বলার অভ্যাসই সবচেয়ে বড় বাধা। সেজন্য প্রথমেই স্থির করতে হবে—ছাড়তেই হবে। একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করুন যেদিন থেকে আর ধূমপান করবেন না।

ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক কিছু উপায়(Smoking)
আদা ও মধু: ধূমপান ছাড়ার সময় মুখে খুশখুশ ভাব কমাতে আদা ও মধু উপকারী।
তুলসী পাতা চিবোনো: এতে ধূমপানের তাগিদ কমে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসও ভালো থাকে।
হালকা ব্যায়াম: শরীর সচল রাখলে মানসিক শক্তি বাড়ে, নেশা ছাড়াও সহজ হয়।
জল পান: বেশি পরিমাণে জল খেলে টক্সিন বেরিয়ে যায় এবং ক্রেভিং কমে।
আরও পড়ুন: Almond: অতিরিক্ত আমন্ড খাচ্ছেন? সাবধান! লাভের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছেনা তো…
বন্ধ করুন ‘ট্রিগার’ পরিস্থিতি তৈরি করা(Smoking)
কফি খাওয়ার সময়, কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে বা কারও সঙ্গে আড্ডার সময় ধূমপানের ইচ্ছা জাগে—এইসব ‘ট্রিগার মোমেন্ট’গুলো এড়িয়ে চলুন। নিজের দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করুন।
বন্ধু ও পরিবারের সাহায্য নিন
ধূমপান ছাড়তে গেলে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা যেন পাশে থাকেন। সমর্থন ও উৎসাহ সবসময় কাজে দেয়। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং বা সাপোর্ট গ্রুপের সাহায্য নিতে পারেন।