ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নিছক দুর্ঘটনা নয়। খুনই করা হয়েছে মধুচন্দ্রিমায় আসা ইন্দোরের যুবককে(Meghalaya)।এই আশঙ্কাই জোরদার হয়েছে তদন্তে। নববধূকে নিয়ে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে আর ঘরে ফেরা হল না ইন্দোরের যুবক রাজা রঘুবংশীর। নিখোঁজের ১১ দিন পর এক পাহাড়ি খাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে রাজার দেহ। তা দেখে পুলিশ নিশ্চিত, তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি তাঁর স্ত্রী সোনমের।
ইন্দোরের যুবক খুন (Meghalaya)
মেঘালয় পুলিশের এক বিশেষ তদন্তকারী দল জানায়, খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ‘দাও’ (ধারাল অস্ত্র) এবং রাজার মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে(Meghalaya)।ইস্ট খাসি হিলস জেলার পুলিশ সুপার বিবেক সিয়াম বলেন, ‘স্পষ্টতই এটি খুন। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। নিহতের ফোন এবং খুনের ব্যবহৃত দাও উদ্ধার হয়েছে।’ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী এবং তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে ২৩ মে নিখোঁজ হন। তার আগের দিন তাঁরা মেঘালয়ের নংরিয়াট গ্রামে পৌঁছান এবং শেষবার ‘শিপারা হোমস্টে’ থেকে তাঁদের চেক-আউট করতে দেখা যায়। পরদিন তাঁদের ভাড়া করা স্কুটি খুঁজে পাওয়া যায় সোহরারিম এলাকায়।

নিখোঁজ স্ত্রী (Meghalaya)
সোমবার ড্রোনের মাধ্যমে ওয়েসাওডং পার্কিং লটের নিচে একটি গভীর খাদে রাজার মৃতদেহ পাওয়া যায়(Meghalaya)। পরে সেটি শনাক্ত করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত সোনমের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল আশপাশের এলাকায় আবার খোঁজ শুরু হবে। খাদটি প্রায় ১-২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য এখন সোনমকে খুঁজে বের করা।’
আরও পড়ুন- Donald Trump: ‘জঘন্য কাজ!’ ফের মাস্কের নিশানায় ট্রাম্পের বিল, পাল্টা হোয়াইট হাউস
সিবিআই তদন্তের দাবি (Meghalaya)
অন্যদিকে, এই ঘটনায় রাজার পরিবার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে(Meghalaya)। তাঁর ভাই বিপিন রঘুবংশী বলেন, ‘আমার দাদার দেহ যেখানে পাওয়া গেছে, সেটা স্কুটি পড়ে থাকার জায়গা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। এটা স্পষ্ট অপহরণ ও খুন। আত্মহত্যা বলার মতো কোনও প্রমাণ নেই, অথচ স্থানীয় পুলিশ আমাদের কথা শুনতেই চায়নি।’ ঘটনার পর দম্পতির পরিবার তাঁদের খোঁজ দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।

আরও পড়ুন- PM Modi: ‘বিশেষ অধিবেশন ডাকুন!’ একজোট হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ১৬ বিরোধী দলের
মেঘালয় সরকারের প্রতিক্রিয়া (Meghalaya)
মেঘালয়ের পর্যটন মন্ত্রী পল লিংদোহ বলেন, ‘এই ঘটনা নজিরবিহীন(Meghalaya)। আমরা মর্মাহত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকলকে একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে বলছি। এখনই কোনও সিদ্ধান্তে ঝাঁপিয়ে পড়া ঠিক হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘থাইল্যান্ডে গিয়ে যদি কেউ নিখোঁজ হন, তার মানে এই নয় যে থাইল্যান্ড নিরাপদ নয়। এখানেও ঠিক তেমন। অপরাধীর বিচার হবে, আইন তার নিজের পথে চলবে।’ গত সপ্তাহে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই মামলার তদারকি করছেন। পুলিশ ছাড়াও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দল, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল, এবং বিশেষ তদন্তকারী দলও যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
