ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নতুন বিতর্কের জন্ম (ICC Denies Pakistan Claim) দিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার মঞ্চে তাদের প্রতিনিধিরা অনুপস্থিত ছিল। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে যে, তাদের সিইও তথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডিরেক্টর সুমাইর আহমেদ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে এই অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আমন্ত্রণ জানিয়েও আসেননি (ICC Denies Pakistan Claim)
আইসিসির এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে (ICC Denies Pakistan Claim) জানিয়েছেন, সুমাইর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মচারী এবং তাঁর মঞ্চে উপস্থিত থাকার কোনো নিয়ম নেই। তিনি বলেন, “আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বোর্ডের সভাপতি বা সচিবকেই থাকতে হবে। সুমাইর সেখানে থাকার জন্য যোগ্য নন।” আইসিসির অন্য এক কর্মকর্তার কথায়, “আমরা নকভিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি আসেননি।”
আইসিসির কাছে জবাব! (ICC Denies Pakistan Claim)
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কোনো প্রতিনিধির মঞ্চে উপস্থিত থাকা (ICC Denies Pakistan Claim) উচিত ছিল। কিন্তু সেখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রজার বিন্নী এবং সচিব দেবজিৎ শইকীয়া উপস্থিত থাকলেও পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। এই পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: WB River Erosion: নদী ভাঙন রোধে বিশেষ ঘোষণা সেচ মন্ত্রীর, বিজেপিকে কড়া উত্তর!
অসন্তুষ্ট পাকিস্তান
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক জানান, পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নকভি ফাইনালের দিন দুবাইয়ে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে সিইওকে পাঠানো হলেও তাঁকে মঞ্চে ডাকা হয়নি, যা পাকিস্তানের জন্য অসন্তোষের বিষয়। আইসিসির পক্ষ থেকে আবারও বলা হয়েছে, পুরস্কার মঞ্চে কেবল বোর্ডের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়, এবং মহসিন নকভির অনুপস্থিতির কারণে পিসিবির অন্য কোনো কর্মকর্তা মঞ্চে ছিলেন না।
আইসিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ
এই ঘটনার ফলে পাকিস্তান আইসিসির উপর আরও ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ চলাকালীন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লোগো পরিবর্তন এবং অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মতো ঘটনারও সমালোচনা করেছে। এইসব কারণে পাকিস্তান বোর্ড আইসিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, তবে আইসিসি সেই অভিযোগগুলো গুরুত্ব সহকারে নিতে চাইছে না।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে তারা আবারও আইসিসির নীতির সমালোচনা করছে, এবং এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হিসেবে তাদের অবস্থান আরও দুর্বল হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে পাকিস্তানকে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে, তা না হলে তারা আরও বেশি বিব্রত হতে পারে।