To Join Our Whatsapp Channel
Click here
To Join Our Telegram Group
Click here
Last Updated on [modified_date_only] by Aditi Singha
Contents
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আইসক্রিম খাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে (Diabetes) একধরনের ভীতি বা ভুল ধারণা চলে আসছে “আইসক্রিম মানেই মারাত্মক চিনি, তাই একেবারে নিষিদ্ধ।” বাস্তবে বিষয়টি এতটা সরল নয়। সঠিক জ্ঞান, পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও খাবারের ভারসাম্য বজায় রেখে ডায়াবেটিস রোগীরাও মাঝেমধ্যে আইসক্রিম উপভোগ করতে পারেন।

আইসক্রিমে কী থাকে! (Diabetes)
- কার্বোহাইড্রেট ও চিনি: আইসক্রিমের মূল উপাদান দুধ, ক্রিম ও চিনি। চিনি ও দুধের ল্যাকটোজ—দু’টিই শরীরে গ্লুকোজে পরিণত হয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে।
- চর্বি: ফ্যাটের উপস্থিতি আইসক্রিমকে মসৃণ স্বাদ দেয়, তবে অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
- প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম: দুধ থেকে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা হাড় ও মাংসপেশির জন্য উপকারী হলেও পরিমাণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

কেন ডায়াবেটিসে ঝুঁকি থাকে! (Diabetes)
- কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম হয়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
- অতিরিক্ত চিনি ও ফ্যাট ইনসুলিনের কাজকে জটিল করতে পারে।
- নিয়মিত বেশি পরিমাণে আইসক্রিম খাওয়া রক্তে শর্করার ওঠা-নামা বাড়ায়, দীর্ঘমেয়াদে জটিলতা তৈরি করতে পারে।
নিরাপদভাবে আইসক্রিম খাওয়া যায়!
- পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ
- সাধারণত আধা কাপ (প্রায় ৭৫–১০০ গ্রাম) এর বেশি একবারে না খাওয়াই ভালো।
- সপ্তাহে এক বা দুইবারের বেশি না খাওয়া উত্তম।
- সময় নির্বাচন
- রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকলে, খাওয়ার পর বা খাবারের সঙ্গে আইসক্রিম খাওয়া নিরাপদ।
- খালি পেটে বা রক্তের শর্করা বেশি থাকলে আইসক্রিম এড়িয়ে চলা উচিত।
- খাবারের ভারসাম্য
- ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে খেলে শর্করা ধীরে বাড়ে। যেমন:
- বাদাম, আখরোট, কাজু, চিয়া সিড
- গ্রিক ইয়োগার্ট
- পিনাট বাটার বা হাই-প্রোটিন ওয়াফল কন
- বাজারের বিকল্প বেছে নেওয়া
- চিনি-নিয়ন্ত্রিত বা কম কার্বযুক্ত আইসক্রিম বেছে নেওয়া ভালো।
- লেবেল পড়ে কার্বোহাইড্রেট, চিনি ও ক্যালোরি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
- কৃত্রিম মিষ্টিকারকযুক্ত আইসক্রিম বেছে নিলে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ কিছু মানুষের গ্যাস, পেট ফোলা বা হজমের অসুবিধা হতে পারে।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন (Diabetes)
- প্রতিবার আইসক্রিম খাওয়ার আগে এবং পরে রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপ করলে বোঝা যাবে শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া করছে।
- ইনসুলিন বা ওষুধের ডোজ সমন্বয়ের জন্য চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি।
- অন্যান্য খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে দিন, যাতে মোট গ্লুকোজ লোড নিয়ন্ত্রিত থাকে।
ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর বিকল্প (Diabetes)
- ফ্রোজেন ইয়োগার্ট বা ফল-ভিত্তিক আইসক্রিম ভালো বিকল্প।
- চিনি ছাড়া বাদাম দুধ বা লো-ফ্যাট দুধ দিয়ে তৈরি আইসক্রিম চেষ্টা করা যেতে পারে।
- প্রাকৃতিক মিষ্টিকারক যেমন স্টেভিয়া, এরিথ্রিটল ইত্যাদি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন : Learning: অভিভাবকই শিশুর প্রথম পাঠ্য বই, গবেষণা কী বলছে?
মূল বার্তা জেনে নিন! (Diabetes)
- আইসক্রিম একেবারে নিষিদ্ধ নয়—কিন্তু পরিমিতি, সঠিক সময় ও খাবারের সুষমতা বজায় রাখা অপরিহার্য।
- নিয়মিত বা অতিরিক্ত খাওয়া রক্তে শর্করার ওঠানামা ঘটায়, যা জটিলতা বাড়াতে পারে।
- চিকিৎসকের পরামর্শ, রক্তে শর্করার নিয়মিত পরিমাপ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি।