ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শুক্রবার নয়ডার একটি টিভি চ্যানেলের বিতর্কসভায় বিতর্কিত (IIT Baba Controversy) ব্যক্তি অভয় সিংহ, যিনি ‘আইআইটি বাবা’ নামে পরিচিত, চরম হেনস্থার শিকার হন। অভিযোগ করা হচ্ছে, বিতর্ক সভায় কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আচমকাই প্রবেশ করে এবং তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। পরে তাঁকে লাঠি দিয়ে মারধরও করা হয়।
থানার সামনে ধর্ণা (IIT Baba Controversy)
এই ঘটনার পর অভয় সিংহ স্থানীয় থানার সামনে প্রতিবাদে (IIT Baba Controversy) ধর্না দিতে বসেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, নিউজরুমে তাঁর সঙ্গে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অমানবিক। যদিও পুলিশ তাঁকে পরে বুঝিয়ে ধর্না থেকে তুলে নেয়। থানার কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া এখনও চলছে।
কে এই আইআইটি বাবা? (IIT Baba Controversy)
অভয় সিংহ একজন প্রতিষ্ঠিত অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার, যিনি আইআইটি মুম্বাই থেকে স্নাতক শেষ করেছেন এবং পরবর্তীতে সন্ন্যাসের পথ বেছে নিয়েছেন। সম্প্রতি, তিনি কুম্ভে অংশ নিয়ে জনমনে বেশ আলোচিত হন। স্বভাবিকভাবেই কুম্ভে তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ পায় তাঁর আসল পরিচয়। তিনি সেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “জ্ঞানের খোঁজ করতে করতে তো এখানেই আসতে হবে।” তাঁকে নিয়ে তখন থেকেই বিতর্কের শুরু হয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন শুধু খ্যাতিলাভের জন্য তিনি এহেন মন্তব্য করছেন। অনেকে আবার তাঁর ভক্তও হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: LPG Gas Price Hike: মাসের শেষে আরও বাড়ল গ্যাসের দাম!
ক্রিকেটের ভবিষ্যদ্বাণী
তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে, যেখানে তিনি ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে ভারতের পরাজয়ের সম্ভাবনা দাবি করেন। কিন্তু ম্যাচের ফলাফল তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীকে মিথ্যা প্রমাণ করে দেয়। একদিকে কিং কোহলির শতরান অন্যদিকে টিম ইন্ডিয়ার দুর্দান্ত পার্ফমেন্স, ব্যস জয়ের স্বাদ ছিনিয়ে নেয় পুরুষদের ভারতীয় ক্রিকেট টিম। এরপরই তিনি সমাজ মাধ্যমে নানান সমালোচনার মুখে পড়েন।

নতুন বিতর্ক
এবারের ঘটনার পর ‘আইআইটি বাবা’কে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে এই হামলাকে তাঁর জনপ্রিয়তার সঙ্গে যুক্ত করে দেখছেন, যেখানে কিছু মানুষ তাঁর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভয় সিংহের বিরুদ্ধে এই অমানবিক আচরণ গণ সমাজে আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং তাঁর সমর্থনকারী অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। পুলিশ আশ্বাস দিলেও, আসল অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।