ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি আরও একধাপ এগোল (Illegal Migrants)। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট স্পষ্ট বার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন—যাঁরা অবৈধ ভাবে আমেরিকায় বসবাস করছেন, তাঁদের বা তো স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ করতে হবে, নয়তো তাঁদের আটক করে জোর করে ফেরত পাঠানো হবে।
অভিবাসন ইস্যুতে আগ্রাসী ট্রাম্প (Illegal Migrants)
ট্রাম্প (Donald Trump) দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছেন (Illegal Migrants)। তাঁর মতে, অবৈধ অভিবাসীরা আমেরিকার অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের পক্ষে হুমকি। সেই কারণেই তিনি আমেরিকায় ‘অবৈধভাবে’ থাকা মানুষদের ‘শত্রু’ হিসেবে বিবেচনা করে তাঁদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট (Illegal Migrants)
এই প্রেক্ষাপটেই আবার আলোচনায় এসেছে ২২৭ বছর পুরনো আইন—‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ (Alien Enemies Act), ১৭৯৮। এই আইন অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টিতে দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে ওঠে, তবে তাঁকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার অধিকার সরকারের রয়েছে। এই আইনকে কাজে লাগিয়েই অবৈধবাসীদের সরাতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন।

নিম্ন আদালতের স্থগিতাদেশ (Illegal Migrants)
তবে এই আইনের প্রয়োগে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল নিম্ন আদালতের স্থগিতাদেশ (Illegal Migrants)। বিশেষ করে ভেনেজুয়েলার কিছু অবৈধ অভিবাসীকে এল সালভাদরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঠেকিয়ে দিয়েছিল আদালত। বিষয়টি যায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার রায় দেয়, সরকার ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করতে পারবে, তবে শর্ত সাপেক্ষে। আদালত জানিয়েছে, কাউকে বিতাড়িত করার আগে ন্যূনতম সময় দিয়ে তাঁকে নোটিস দিতে হবে, এবং সে ব্যক্তি চাইলে আইনগত পথে প্রতিকার চাইতে পারবেন।এই রায়ের পর হোয়াইট হাউসের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট। ক্যারোলিন লিভিট এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের সহ্যক্ষমতার সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের উচিত নিজেরা আমেরিকা ছেড়ে চলে যাওয়া। নইলে আইনি পথে তাঁদের বের করে দেওয়া হবে।”

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা (Illegal Migrants)
রায়ের পরেই ট্রাম্প আদালতকে ধন্যবাদ জানান (Illegal Migrants)। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই রায় আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখার পথে বড় জয়।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী দিনে অভিবাসন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে ট্রাম্প সরকার। ইতিমধ্যেই ‘ডিপোর্টেশন লিস্ট’ তৈরি শুরু হয়েছে, যেখানে শীর্ষে রয়েছে অপরাধপ্রবণ ও দস্যু প্রকৃতির অবৈধ অভিবাসীদের নাম।
সুপ্রিম কোর্টের রায় (Illegal Migrants)
সুপ্রিম কোর্টের রায় নতুন করে ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে একটি শক্তিশালী অস্ত্র তুলে দিল (Illegal Migrants)। ১৭৯৮ সালের আইনকে কার্যকর করে এখন থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও দ্রুত ও আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারবে আমেরিকা। এর ফলে শুধু অভিবাসী সমাজ নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ ছড়িয়েছে। মানবাধিকার কর্মীদের মতে, এই পদক্ষেপ অনেক অভিবাসীর জীবনে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন বলছে—”দেশকে নিরাপদ রাখতে হলে কঠোর হতে হবেই।”