ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান (Imran Khan Nobel Peace) ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নরওয়ে ভিত্তিক রাজনৈতিক দল পার্টিয়েট সেন্ট্রাম এবং মানবাধিকার সংস্থা ‘পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স’ (পিডব্লিউএ) যৌথভাবে এই মনোনয়নের সুপারিশ করেছে।
ইমরান খানের নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন (Imran Khan Nobel Peace)
পার্টিয়েট সেন্ট্রাম তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক পোস্টে জানিয়েছে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের (Imran Khan Nobel Peace) জন্য মনোনয়ন দেওয়ার অধিকার রয়েছে—এমন সংস্থার সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আমরা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (imran Khan) মনোনীত করেছি।” মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রচারের জন্য তার ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবেই তাকে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
কারাবন্দি অবস্থায় নোবেল মনোনয়ন (Imran Khan Nobel Peace)
বর্তমানে ইমরান খান দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে কারাবন্দি রয়েছেন (Imran Khan Nobel Peace)। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তার সমর্থকদের মতে, পাক সেনাবাহিনীর একাংশের চক্রান্তেই তাকে কারাবন্দি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Japan Earthquake : ৮ থেকে ৯ মাত্রার বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও সুনামির আশঙ্কায় জাপান!
আগেও নোবেল মনোনয়ন ইমরানের (Imran Khan Nobel Peace)
এটি প্রথমবার নয়, ২০১৯ সালেও ইমরান খান নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন (Imran Khan Nobel Peace)।সেই সময় ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে তার ভূমিকার জন্য তাকে মনোনীত করা হয়েছিল। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা থাকা সত্ত্বেও, শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে তার নেওয়া এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়।

আরও পড়ুন: US Tariff: শুল্ক নীতিতে ট্রাম্পের নিশানায় ভারত সহ একাধিক দেশ! কোন কোন দেশে প্রভাব পড়বে?
রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ (Imran Khan Nobel Peace)
ইমরান খান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন এবং তার শাসনামলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে ২০২২ সালের এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ফলে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হন। এরপর থেকে তিনি তার রাজনৈতিক দল পিটিআইকে পুনর্গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া (Imran Khan Nobel Peace)
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রতিবছর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শত শত মনোনয়ন গ্রহণ করে এবং দীর্ঘ পর্যালোচনার মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করে। মনোনীত ব্যক্তি বা সংস্থা শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত (Imran Khan Nobel Peace)
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইমরান খানের নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন তার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রতিফলন । তার নেতৃত্বে পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে যে আন্দোলন চলছে, তা বিশ্বব্যাপী আলোচিত। তবে কারাবন্দি অবস্থায় থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা কতটুকু, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।