ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানের রাজনীতিতে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর জামিন ও কারামুক্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রবল জল্পনা(Imran Khan)। রবিবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান গোহর আলি খানের একটি মন্তব্যে এই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “আগামী ১১ জুন দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই ইমরান জেলমুক্ত হবেন।”
মুক্তি পাবেন ইমরান? (Imran Khan)
গোহরের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—ইমরান কি সত্যিই মুক্তি পেতে চলেছেন? জেলবন্দি অবস্থায় টানা চারটি ঈদ পার করেছেন দেশের এক সময়কার জনপ্রিয়তম নেতা(Imran Khan)। তাঁর মুক্তি হলে, তা নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী হতে পারে।পিটিআই সূত্রে খবর, বর্তমানে ইসলামাবাদের আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি মামলা চললেও আলোচনার মূল বিষয় ‘আল কাদির ট্রাস্ট’ সংক্রান্ত অর্থ কেলেঙ্কারি মামলা। এই মামলায় জামিন চেয়ে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন ইমরান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। যদিও আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে ১১ জুন ধার্য করেছে।
চাপে শাহবাজ সরকার (Imran Khan)
গোহরের মতে, “ইমরান শুধু আমাদের নেতা নন, দেশের গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা(Imran Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে জেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু মানুষের রায় স্পষ্ট—তাঁরা ইমরানকেই ফের ক্ষমতায় দেখতে চান।”এদিকে, শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ইমরান। রবিবার গোহরও বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, “এটা শুধুমাত্র ইমরানের মুক্তির লড়াই নয়, দেশের স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই।”

ইমরানের মুক্তিতে দ্বিমত (Imran Khan)
অন্যদিকে, একটি পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সরকারের অন্দরে ইমরানকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে (Imran Khan)। সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একাংশ এখনও তাঁর মুক্তির বিরোধী, আবার অন্য অংশ মনে করছে, তাঁকে জেলে রেখে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১১ জুন যদি ইমরান খান জামিন পান, তবে পাকিস্তানে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়বে। পিটিআই জোরদার ভাবে রাস্তায় নামবে এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে। বিপরীতে জামিন না হলে দেশজুড়ে নতুন করে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পিটিআই কার্যত কোণঠাসা (Imran Khan)
উল্লেখযোগ্য, ২০২৪ সালের নির্বাচনে পিটিআই কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে(Imran Khan)। যদিও ইমরানের জনপ্রিয়তায় এখনও ভাটা পড়েনি। বহু মানুষ মনে করেন, বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে ঠেকানো হচ্ছে। সবমিলিয়ে, ১১ জুন এখন কেবল একটি তারিখ নয়—তা যেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকা একটি দেশের হৃদস্পন্দন। ইমরানের মুক্তি বা মুক্তি না-পাওয়ার খবর আগামী দিনগুলিতে দেশের রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে।