ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ৪৭১ দিন পর ভারতের প্রতিশোধ! ১৯ নভেম্বর ২০২৩ সালে এক দিনের (IND vs AUS Semi-Final) বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। অবশেষে সেই সুযোগ এল, যখন ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে প্রবেশ করল। দুবাইয়ের মাটিতে রোহিত শর্মার দলের শেষ হাসি ফুটল। ১১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত।
শামি-বরুণের যুগলবন্দী (IND vs AUS Semi-Final)
ভারতের এই জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন মহম্মদ শামি এবং বরুণ চক্রবর্তী (IND vs AUS Semi-Final)। তারা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই চাপে ফেলেন। বিশেষ করে, বরুণ শামির সঙ্গে গত ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর এই ম্যাচেও ৩৯ রানে ট্রেভিস হেডকে আউট করে অস্ট্রেলিয়ার রান তোলার গতি কমিয়ে দেন।
বোলিং-এ অসাধারণ জাডেজা (IND vs AUS Semi-Final)
ভারতীয় বোলিং আক্রমণের মধ্যে রবীন্দ্র জাডেজা এবং অক্ষর পটেলের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য (IND vs AUS Semi-Final) পারফরম্যান্স ছিল। জাডেজা মার্নাস লাবুশেন এবং জশ ইংলিসকে দ্রুত আউট করে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি কমিয়ে দেন। অক্ষর পটেলও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে মাত্র ৭ রানে ফেরান।
স্মিথের দুর্দান্ত ব্যাটিং
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তিনি শুরুতে কিছু ভাগ্যের সহায়তা পেলেও, ৭৩ রানে আউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া আবার চাপে পড়ে। স্মিথের বিদায়ের পর অ্যালেক্স ক্যারে কিছুটা সহায়তা করলেও, শ্রেয়স আয়ারের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর কমাতে সহায়তা করে।
অসাধারণ কিং কোহলি
রান তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হয়। শুভমন গিল আবারও হতাশ করেন, মাত্র ৮ রান করে আউট হন। রোহিত শর্মা ভালো খেলছিলেন, কিন্তু তিনি ২৮ রানে আউট হন। এরপর শ্রেয়স আয়ার এবং বিরাট কোহলি জুটি গড়েন। শ্রেয়স ভারতের মিডল অর্ডারে জায়গা পাকা করে ফেলছেন, কোহলির সঙ্গে ৯১ রানের জুটি গড়ে দলকে উজ্জীবিত করেন।

ব্যাটে ঝড় কোহলির
কোহলি আবারও বড় ম্যাচের ক্রিকেটার হিসেবে নিজের সনাক্ত করিয়ে দেন। তিনি ৮৪ রানে আউট হলেও, তার ইনিংস ভারতকে জয়লাভের দিকে নিয়ে যায়। কোহলি ম্যাচ শেষ করতে পারলে তার শতরান হত, কিন্তু তা হয়নি। তারপরও, তার ইনিংসের জন্য ভারত কৃতজ্ঞ।
হার্দিকের বোলিং
অবশেষে, হার্দিক পান্ডিয়া এবং লোকেশ রাহুল শেষের দিকে দায়িত্ব নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। হার্দিক ২৪ বলে ২৮ রান করে গুরুত্বপূর্ণ ছক্কা মারেন এবং রাহুল ৩৪ বলে ৪২ রান করে ম্যাচ শেষ করেন।
সুযোগ হাতছাড়া
অস্ট্রেলিয়া সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু তারা তা কাজে লাগাতে পারেনি। রোহিতের দুটি ক্যাচ এবং কোহলির ক্যাচ ফেলার মতো ভুলগুলোর খেসারত দিতে হয়েছে।
ভারতের এই জয় কেবল একটি ম্যাচ জয়ের কথা নয়, বরং এটি আত্মবিশ্বাস এবং সাহসের প্রতীক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠার মাধ্যমে ভারত প্রমাণ করল, তারা প্রতিশোধ নিতে সক্ষম। এই জয়ের ফলে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিল, এবং ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।