ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘ফাইনালের মতোই ফাইনাল’। রবিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন ভারত। এক ওভার বাকি থাকতেই ৬ উইকেট খুইয়ে নিউজিল্যান্ডের ২৫২ রানের টার্গেট তাড়া করে ৪৯ ওভারেই ম্যাচ ও ট্রফি জিতে নিল ভারত (India beats New Zealand)। গোটা টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকেই ১২ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এল ভারতে। সেই সঙ্গে ২৫ বছর আগে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের রানার্স হওয়ার মধুর প্রতিশোধও নিলেন রোহিত শর্মারা।
গত বছরের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ৯ মাসের মধ্যে অধিনায়ক হিসাবে আরও একটি আইসিসি ট্রফি জিতলেন রোহিত। কোচ হিসাবে সফল গৌতম গম্ভীরও। নিজের প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্টেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন তিনি। ফাইনালে হাফসেঞ্চুরি করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রেকর্ডেও আংশিক ভাগ বসালেন রোহিত। ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌরভ।
রবিবার দুবাইয়ে ভারতের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে হাফসেঞ্চুরি করলেন ‘হিটম্যান’। তবে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে চতুর্থ ক্যাপ্টেন হিসেবে ফাইনালে হাফসেঞ্চুরি করলেন রোহিত। এই তালিকায় তাঁর আগে রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সনৎ জয়সূর্য ও হ্যান্সি ক্রোনিয়ে।

এদিন টসে জিতে ব্যাটিং নিতে কোনও ভুল করেননি নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। কারণ ভারতের বিরুদ্ধে গ্ৰুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দুবাইয়ের এই মাঠেই টসে জিতে রান তাড়া করতে গিয়ে ডুবেছিল দল (India beats New Zealand)। ভারতের ২৫০ রান তাড়া করতে নেমে সেবার ২০৫ রানেই অলআউট হতে হয়েছিল। ৪৪ রানে জিতেছিল ভারত। দুবাইয়ের স্লো টার্নিং উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা যে যথেষ্ট কঠিন, তা বুঝে গিয়েছিল কিউইরা। তাই এদিন টসে জিতেই প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড।
রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত (India beats New Zealand)
অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে দুই ওপেনার উইল ইয়ং ও রচিন রবীন্দ্র। ভারতের দুই পেসার মহম্মদ সামি ও হার্দিক পান্ডিয়ার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই হাত খুলে ব্যাট চালাতে শুরু করেন দুরন্ত ফর্মে থাকা রচিন। কিন্তু সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে রচিনকে দ্রুত ফেরানোর সুযোগ চলে এসেছিল সামির কাছে। ২৮ রানে ব্যাট করা রচিনের ক্যাচ নিজেই ফেলে দেন বোলার সামি। পরের ওভারে প্রথম বলে আবারও জীবনদান পান রচিন। বরুণ চক্রবর্তীর বলে কিউই ওপেনারের ক্যাচ ফেলেন এবার শ্রেয়স আইয়ার। যদিও সেই ওভারের পঞ্চম বলেই ইয়ংকে (১৫) ফিরিয়ে কিউই শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দেন বরুণ। ৫৭ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। অধিনায়ক রোহিত দুই দিক থেকেই স্পিন আক্রমণ আনতেই চাপ বাড়ে কিউই ব্যাটারদের (India beats New Zealand)।
জুটি ভাঙতেই বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি রচিন। একাদশ ওভারের প্রথম বলেই রচিনকে (৩৭) দুরন্ত বোল্ড করেন কুলদীপ যাদব। ভারতীয় বাঁহাতি স্পিনারের ঘূর্ণি বুঝতেই পারেননি রচিন। এরপর ৭৫ রানের মাথায় গত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করা কেন উইলিয়ামসনকেও (১১) দ্রুত ফিরিয়ে দেন কুলদীপই। ১৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ড্যারেল মিচেল কিউই ইনিংসের হাল ধরেন। কিন্তু ১০৮ রানের মাথায় টম লাথাম (১৪) জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হতেই আবার চাপ বাড়ে কিউই শিবিরে। যদিও সেই ধাক্কা সামলে দেন মিচেল ও গ্লেন ফিলিপ্স। পঞ্চম উইকেটে দু’জনের ৫৭ রানের পার্টনারশিপ অক্সিজেন যোগায় কিউই ড্রেসিংরুমে।
আরও পড়ুন: Rohit-Kohli Retirement: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওডিআই থেকে বিদায় নেবেন কোহলি-রোহিত! কী বললেন আকাশ চোপড়া?

ফিলিপ্সকে (৩৪) বোল্ড করে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন সেই বরুণ চক্রবর্তী। ফিলিপ্স যখন ফেরেন তখন নিউজিল্যান্ডের রান পাঁচ উইকেটে ১৬৫। কিন্তু মিচেল ও ব্রেসওয়েল স্কোরবোর্ডে রান এগিয়ে নিয়ে যান। ষষ্ঠ উইকেটে দু’জনের ৪৬ রানের পার্টনারশিপে ভর করে ৪৫ ওভারে ২০০ রানের গন্ডি টপকায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ৪৬তম ওভারের চতুর্থ বলে সামিকে মারতে গিয়ে রোহিতের হাতে জমা পড়েন মিচেল (India beats New Zealand)।
যদিও আউট হওয়ার আগে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ১০১ বলে ৩ বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৩ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন মিচেল। আর রোহিত শর্মার ভুল সিদ্ধান্তকে কাজে লাগিয়ে নিউজিল্যান্ডের রান ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ তে পৌঁছে দেন ব্রেসওয়েল (India beats New Zealand)। ৪০ বলে ৩ বাউন্ডারি ও জোড়া ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে যান। মাঝে ৪৯ ওভারে স্যান্টনার (৮) রান আউট হন।
শেষ ৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলল ৫০ রান। আর সেটাই ভারতের কাপ জেতার পথে প্রায় কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। যেখানে চার স্পিনারকে খেলতে রীতিমতো হিমশিম খেলো কিউই ব্যাটাররা, তখন শেষ ৫ ওভারে দুই দিকে দুই পেসার সামি ও হার্দিককে ফিরিয়ে এনে কিউইদের রান ২৫০ পার করতে সাহায্য করলেন রোহিত। ৮ ওভারে মাত্র ২৯ রান দেওয়া অক্ষর প্যাটেলের ২ ওভার বাকি থাকতেও কেন তাঁকে দিয়ে বল করানো হলো না, তা একমাত্র রোহিতই জানেন (India beats New Zealand)।
যেখানে ৪ স্পিনার মিলে ৩৮ ওভারে ১৪৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিলেন, সেখানে সামি ও হার্দিক মিলে ১১ ওভারে দিলেন ১০৪ রান। ৯ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে সামি নিলেন একটি উইকেট। ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে উইকেটহীন থেকে যান হার্দিক। তবে এদিন ভারতের চার স্পিনারই অনবদ্য। ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে বরুণ চক্রবর্তী নিলেন ২ উইকেট। কুলদীপ যাদবেরও ১০ ওভারে ৪০ রানে ২ উইকেট। ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে জাদেজার শিকার এক। উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিলেন অক্ষর প্যাটেল।
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ২৫ বছর আগের মধুর বদলা রোহিতদের (India beats New Zealand)
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার শুভমন গিল ও অধিনায়ক রোহিত। গোটা টুর্নামেন্টে রান না পাওয়া রোহিতের ব্যাটের দিকে রবিবার তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। টুর্নামেন্টে তাঁর ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে চলা সমালোচনা কানেও পৌঁছেছিল তাঁর। তাই রান পেতে তিনি যেমন মুখিয়ে ছিলেন, তেমনই খেতাব জয়ের জন্য তাঁর ব্যাটের দিকেও তাকিয়ে ছিল সকলে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে জেমিসনকে পুল করে ছক্কা হাঁকিয়ে রানে ফেরার ইঙ্গিত শুরুতেই দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। গিল এক দিকে ধরে খেললেও এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন রোহিত (India beats New Zealand)। তাতেই ১৭ ওভারে ১০০ রান তুলে ফেলে ভারত।

ওপেনিং জুটিতে ১০৫ রান তুলে ভারতের খেতাব জয় যখন অনেকটাই আসান করে দিয়েছিলেন গিল-রোহিত, তখনই ‘কাহানি মে টুইস্ট’। কিউই স্পিন ত্রিফলা ব্রেসওয়েল, স্যান্টনার ও রচিন মাত্র ১৭ রানের মধ্যেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের তিন স্তম্ভ গিল, বিরাট কোহলি ও রোহিতকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ১৯.৪ ওভারে ১০৫ রানের মাথায় গিলকে (৩১) ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দেন কিউই অধিনায়ক স্যান্টনার। শর্ট এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা গ্লেন ফিলিপ্স শূন্যে শরীর ছুঁড়ে অবিশ্বাস্যভাবে তালুবন্দী করেন গিলের ক্যাচ। এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এরকম একাধিক ক্যাচ ধরে ফিলিপ্স প্রমাণ করে দিলেন এই মুহূর্তে তিনিই বিশ্বের সেরা ফিল্ডার (India beats New Zealand)।
সেই ঘোর দুবাইয়ে গ্যালারি কাটিয়ে ওঠার আগেই পরের ওভারেই কোহলিকে (১) এলবিডব্লিউ করে দ্বিতীয় তথা ‘বিরাট’ ধাক্কাটা দেন ব্রেসওয়েল। গোটা স্টেডিয়ামে এক লহমায় যেন শ্মশানের নীরবতা নেমে আসে। বিরাট যখন ফেরেন তখন ১৯.১ ওভারে ২ উইকেটে ভারতের রান ১০৬। যদিও উল্টোদিকে বাউন্ডারি ও সিঙ্গলস নিয়ে নিজের ৫৮তম ওয়ানডে অর্ধশতরান পূর্ণ করে ভারতের স্কোরকার্ড সচল রেখেছিলেন রোহিত।
কিন্তু অযথা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নিজের সঙ্গে দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিলেন। ২৭তম ওভারের প্রথম বলে রচিন রবীন্দ্রকে স্টেপ আউট করে বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে গিয়ে স্টাম্প আউট হন ম্যাচের সেরা রোহিত। তখন ভারতের রান ৩ উইকেটে ১২২। ব্রেসওয়েলের ২৬তম ওভারে কোনও রান না আসায় ধৈর্য হারিয়ে রচিনের ওভারে মারতে গিয়েই আউট হলেন রোহিত। সেই ওভারেও কোনও রান তুলতে পারেনি ভারত(India beats New Zealand)।
আরও পড়ুন: Mohammed Shami: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাড়তি সুবিধার দাবি খারিজ রোহিত-গম্ভীরের, শামি মানলেন বাস্তব

একদিনের ক্রিকেটে অদূর কেন, সুদূর অতীতেও ভারতীয় ব্যাটারা কবে বিপক্ষকে পরপর দু’বার মেডেন দিয়েছেন, মনে করা দুষ্কর। ৮৩ বলে ৭ বাউন্ডারি ও তিন ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৬ রান করেন ভারত অধিনায়ক। ‘রক্তের স্বাদ’ পাওয়া কিউই স্পিনাররা আরও চেপে ধরে ভারতকে। কঠিন সময় আবারও দলের হাল ধরেন শ্রেয়স আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল। প্রথমে ধরে খেললেন তাঁরা। বড় শট মারার চেষ্টা করলেন না। উইকেটে কিছুটা জমে যাওয়ার পর খারাপ বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে হঠাৎ করে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ঢুকে পড়া চাপটা ক্রমশ কাটাচ্ছিলেন তাঁরা। চতুর্থ উইকেটে দু’জনের পার্টনারশিপে উঠল গুরুত্বপূর্ণ ৬১ রান। এই জুটি দলকে ভালোই জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল (India beats New Zealand)।
ফিলিপ্সের ৩৭তম ওভারে চতুর্থ বলে শ্রেয়সের সহজ ক্যাচ ফেলেন জেমিসন। যদিও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি শ্রেয়স। ৩৯ ওভারেই শ্রেয়সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে রচিন রবীন্দ্রর হাতে জমা পড়ে হাফসেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে থামেন শ্রেয়স। ৬২ বলে দু’টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ রান করেন তরুণ ভারতীয় ব্যাটারা। শ্রেয়স যখন ফেরেন তখন রান ৪ উইকেটে ১৮৩। তখনও ভারতের জয়ের জন্য দরকার ৬৮ বলে ৬৯ রান। ম্যাচ তখন পেন্ডুলামের মতো দুলছে (India beats New Zealand)।
টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকেই খেতাব জিতল ভারত (India beats New Zealand)
যখনই ভারত নিজেদের পক্ষে ম্যাচ এনেছে তখনই উইকেট খুইয়ে স্নায়ুর চাপ বাড়িয়েছেন শ্রেয়স, অক্ষর, হার্দিকরা। বলের থেকে যখন রান কম দরকার, সিঙ্গলস নিলেই ম্যাচ বেরিয়ে যায়, তখনই অযথা তুলে মারতে গিয়ে আউট হন সেট হয়ে যাওয়া অক্ষর। ৪০ বলে একটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৯ রান করে তিনি যখন ব্রেসওয়েলের বলে ও’রুরকের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন, তখন জয়ের জন্য দরকার ৫১ বলে ৪৯ রান। হার্দিকও হাঁটলেন একই পথে।
কেএল রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৩৮ রানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করে ম্যাচটা যখন শেষ করে নিয়ে এসেছিলেন তখনই জেমিসনের একটা শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে কট অ্যান্ড বোল্ড হলেন হার্দিক (১৮ বলে ১৮)। তখন ট্রফি জয় থেকে মাত্র ১১ রান দূরে দাঁড়িয়ে ভারত। হাতে ১৫ বল। তবে আর বেশিক্ষণ টেনসন স্থায়ী হয়নি (India beats New Zealand)। জাদেজাকে ( ৬ বলে ৯ রানে অপরাজিত) নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভারতের তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় নিশ্চিত করে দেন রাহুল। ৩৩ বলে একটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে অপরাজিত ৩৪ রানের অত্যন্ত কার্যকরী ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাহুল।
শুধু এই ম্যাচই নয়, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও এই ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এক ওভার বাকি থাকতেই চার উইকেটে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেতাব জিতে নেয় ভারত। ও’রুরকের বলে জাদেজার শট বাউন্ডারি পার হতেই হাসি ফুটল ফুটল ভারতীয় সমর্থকদের মুখে।নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্রেসওয়েল ও স্যান্টনার দু’টি করে এবং জেমিসন ও সিরিজের সেরা রচিন একটি করে উইকেট পেলেন।

মাঠেই উইকেট নিয়ে ডান্ডিয়া নাচে অভিনব সেলিব্রেশন ‘রো-কো’ জুটির (India beats New Zealand)
জাদেদার শট বাউন্ডারি পার হতেই মাঠে নেমে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মাতলেন রোহিত-বিরাটরা। হাতে উইকেট তুলে নিয়ে ডান্ডিয়া নাচতেও দেখা গেল ‘রো-কো’ জুটিকে (India beats New Zealand)। সেইসঙ্গে এখনই অবসরের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন রোহিত নিজেই। ভারতীয় ক্রিকেটের অলিন্দে একটা কানাঘুষো চলছিল যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেই অবসর নিতে পারেন রোহিত। কিন্তু রবিবার দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অবসর প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করলেন না ভারত অধিনায়ক। উল্টে, ২০২৭ বিশ্বকাপ অবধি খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন।