ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারত ও চিনের সম্পর্ক দীর্ঘদিন (India-China Relationship) ধরে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও, এখন সময় এসেছে ঐক্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর। এই বার্তা দিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং য়ি। সম্প্রতি, বেজিংয়ে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রীর সঙ্গে একটি বৈঠকের পর, তিনি পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছেন।
সম্পর্ক উন্নতির বার্তা দিলেন চীনের বিদেশমন্ত্রী (India-China Relationship)
এটি এমন একটি সময়েই এসেছে, যখন ভারত-চিন (India-China Relationship) সীমান্তের উত্তেজনা অনেকটা প্রশমিত হলেও, দুটি দেশের মধ্যে নানা সমস্যা এখনো মীমাংসা হয়নি। বিশেষ করে, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে, ওয়াংয়ি বলেন, ‘‘দুই দেশেরই উচিত সুযোগকে কাজে লাগানো এবং তাদের সম্পর্ক উন্নতির জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া।’’
পারস্পরিক বোঝাপড়ার প্রয়োজন (India-China Relationship)
চিনের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘পারস্পরিক বোঝাপড়া, সমর্থন এবং অর্জনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া (India-China Relationship) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ভারত এবং চিনের সম্পর্ক উন্নতি সম্পূর্ণরূপে দুই দেশ এবং তাদের জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Syria Execution: হোমসে নির্বিচারে হত্যা! সিরিয়ার নতুন শাসকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
সীমান্ত নিয়ে এখনও বিতর্ক
২০২০ সালে গলওয়ানে ভারতের (India-China Relationship) সেনাবাহিনীর ২০ জন সদস্য নিহত হওয়ার পর ভারত-চিন সম্পর্ক চরমে ওঠে। এই ঘটনাটি সীমান্ত নিয়ে গম্ভীর উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে বৈঠক শুরু হয়। ২০২১ সালে চুশুল-মলডো পয়েন্টে সেনাদের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ২০২৩ সালে তা সমাপ্ত হয়। তবে, সীমান্ত নিয়ে এখনও কিছু বিতর্ক রয়েছে, বিশেষ করে লাদাখের কিছু অংশে চিনের দাবি নিয়ে।
সম্পর্কের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ
ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি সম্প্রতি বেজিং সফর করেছেন এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক দফতরের প্রধান লিউ জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা হয়। ভারত সরকারের মতে, চিন সফরটি সম্পর্কের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারত-চীন সম্পর্কের উন্নতি?
এদিকে, চিনের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে যে, দুই দেশের মধ্যে এই আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক ফিরে আসবে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।