ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে উত্তাল বিশ্ববাণিজ্যের মঞ্চ (India-China Trade)। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) ঘোষণা করেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের উপর তিনি চড়া শুল্ক আরোপ করবেন। আগামী বুধবার মধ্যরাত থেকে এই নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘোষণার জেরে বিভিন্ন দেশ আমেরিকার বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপের পথে হাঁটছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কী করবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
কী কী রফতানি করে ভারত? (India-China Trade)
ভারত আমেরিকায় গয়না, পোশাক, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, মাংস ও কৃষিপণ্য রফতানি করে (India-China Trade)। এসব পণ্যের মার্কিন বাজারে উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে। ট্রাম্প যদিও ভারতের উপর তুলনামূলকভাবে কম, অর্থাৎ ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন, তবুও এটি ভারতের রফতানি ব্যবসার জন্য এক বড় ধাক্কা হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারত সহ একাধিক দেশ আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক বিষয়ে দর কষাকষি শুরু করে দিয়েছে।
বাণিজ্যিক সম্পর্ক (India-China Trade)
এই প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও পুনর্মূল্যায়নের বিষয় হয়ে উঠেছে (India-China Trade)। ভারতের অন্যতম বৃহৎ রফতানি গন্তব্য দেশ চিন। ভারত থেকে চিনে চা, মশলা, তুলো, ওষুধ, ইস্পাত তৈরির কাঁচামাল এবং সামুদ্রিক খাবার রফতানি করা হয়। বিশেষ করে ভারতীয় চা ও মশলার বিশ্বব্যাপী সুনাম থাকায় চিন সেগুলোর অন্যতম বড় ক্রেতা। তুলোর ক্ষেত্রেও ভারত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রফতানিকারক হওয়ায় চিন নিয়মিতভাবে এই পণ্য আমদানি করে থাকে।

ভারত ও পাকিস্তানের রফতানি-বাণিজ্য (India-China Trade)
অন্যদিকে, দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েন সত্ত্বেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রফতানি-বাণিজ্য কিছু মাত্রায় বহাল রয়েছে (India-China Trade)। ভারত থেকে পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয় ওষুধ, চা, কফি, ফল, সবজি (বিশেষত পেঁয়াজ, আদা, টম্যাটো), প্লাস্টিক ও রাসায়নিক দ্রব্য। পাকিস্তানে ভারতীয় পোশাক ও তুলোর চাহিদাও যথেষ্ট। যদিও বিগত কয়েক বছরে এই বাণিজ্যের পরিমাণ কমেছে, তবে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

বৈশ্বিক বাণিজ্যে ধাক্কা (India-China Trade)
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি বৈশ্বিক বাণিজ্যের ভারসাম্যে এক বড়সড় ধাক্কা দিতে পারে (India-China Trade)।ইতিমধ্যেই শেয়ার বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ হল—একদিকে আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখা, অন্যদিকে নিজেদের রফতানি বাজারকে সুরক্ষিত রাখা। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে সুপরিকল্পিতভাবে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

ভারতের কৌশলগত পদক্ষেপ (India-China Trade)
চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও। এমন এক সময় গুরুত্ব পাচ্ছে, যখন বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতিতে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। ভারত তার রফতানির বাজার আরও বৈচিত্রময় করে তুলতে পারে, যাতে এক বা দুই দেশের উপর নির্ভরতা কমে। সব মিলিয়ে, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে শুরু হওয়া নতুন বাণিজ্য যুদ্ধের সময়ে ভারতকে কৌশলগতভাবে ভারসাম্য রেখে এগোতে হবে—যেখানে নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থও রক্ষা পায়, আবার আন্তর্জাতিক সম্পর্কে টানাপড়েনও না ঘটে।