ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁও হামলার জবাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকে পাকিস্তানের ১১টি সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত (India-Pakistan Conflict)। এবার পাকিস্তানের উপর আরও চাপ বাড়াতে কূটনৈতিক স্তরে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের জঙ্গিবাদের মুখোশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিধি দল পাঠাবে ভারত। আর ওই প্রতিনিধিদলে শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরেরই সাংসদরা থাকবেন। যা ভারতের রাজনীতিতে অতি বিরল।
জাতীয় স্বার্থে একজোট শাসক ও বিরোধী (India-Pakistan Conflict)
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর জাতীয় স্বার্থে একজোট হয়েছে শাসক ও বিরোধী শিবির। এই আবহে ভারতের প্রতিনিধি দল যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশে।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এই বিদেশ সফরের ব্যবস্থা করছেন। ২২ মে-র পর যা শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মর্মে সাংসদদের ইতিমধ্যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক প্রতিনিধিদলে ৫-৮ জন করে সাংসদ থাকবেন। সূত্র অনুয়ায়ী, এই প্রতিনিধি দলগুলিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সিনিয়র সাংসদদের বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এনডিএ সাংসদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া (India-Pakistan Conflict)
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই সফর সম্পর্কে জানানো হবে। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই প্রতিনিধিদলগুলি বিভিন্ন দেশে সফর শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। লোকসভার একজন বিরোধী সাংসদ বলেন, ‘এটি অত্যন্ত ভালো পদক্ষেপ কারণ ভারতকে বিশ্বের কাছে তার দৃষ্টিভঙ্গি জোরের সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। সর্বোপরি, অপারেশন সিঁদুর এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি ও ভারতের অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’ আরও একজন বিরোধী সাংসদ বলেন, ‘এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হবে কেন সন্ত্রাসবাদের উপর সরাসরি ফোকাস করা উচিত এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি ভারতের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ব্যাখ্যা করা।’
আরও পড়ুন: Akashteer Air Defence System : ভারতের ‘আকাশতির’ টেক্কা দিচ্ছে চিনের প্রযুক্তিকেও!
প্রতিনিধিদলের তালিকা (India-Pakistan Conflict)
সূত্রের খবর, প্রতিনিধিদলের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।আজাদকে কাশ্মীরের একজন বিশিষ্ট মুখ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।এছাড়াও সরকার কংগ্রেস, জনতা দল (ইউনাইটেড), তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি), বিজু জনতা দল (বিজেডি), জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং এনসিপি-পাওয়ারের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে।
আরও পড়ুন: Indus Waters Treaty: সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি নিয়ে ওমর-মেহবুবা বাকযুদ্ধে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি
নয়াদিল্লির বার্তা (India-Pakistan Conflict)
সব দলের সাংসদদের নিয়ে গঠিত প্রতিনিধিদলকে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে নয়াদিল্লি একাধিক বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে যেমন ভারত গোটা বিশ্বকে বোঝাতে চাইছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ, তেমনই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তানের প্ররোচনামূলক আচরণও সর্বসমক্ষে তুলে ধরতে চাইছে কেন্দ্র।