ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা (India-Pakistan Border War) সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানি সেনার গোলাবর্ষণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণঘাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে, যেখানে পাকিস্তান রেঞ্জার্স বাহিনী প্রথমে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে এবং পরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তৎক্ষণাৎ কঠোর পাল্টা জবাব দেয়, ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংক্ষিপ্ত কিন্তু তীব্র গোলাবিনিময় হয়।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ (India-Pakistan Border War)
সেনা সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানি সেনারা প্রথমে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে। এরপর তারা একটি মাইন বিস্ফোরণ ঘটায়, যা ভারতীয় সেনার সতর্কতা বাড়িয়ে তোলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তানি সেনারা ভারতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। ভারতীয় সেনার জওয়ানরা তাদের স্ট্যান্ডিং অপারেশনাল প্রোসিডিউর অনুযায়ী তৎক্ষণাৎ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। গোলাবিনিময় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এবং শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতা (India-Pakistan Border War)
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণের পর থেকে সীমান্তে তুলনামূলক শান্তি বিরাজ করছিল। তবে গত কয়েক মাসে পাকিস্তানি সেনা ও জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে,
- গত ফেব্রুয়ারিতে আইইডি বিস্ফোরণে দুই ভারতীয় (India-Pakistan Border War) সেনা জওয়ান শহীদ হন।
- কুপওয়ারা জেলায় সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার।
- গত মাসে পুঞ্চ সেক্টরে সাত পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীর সাথে খণ্ডযুদ্ধ।
ভারতীয় সেনার কঠোর অবস্থান
সেনার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করছি। কোনো প্ররোচনায় সাড়া না দিয়ে, সরাসরি কঠোর জবাব দিচ্ছি।” ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। ড্রোন নজরদারি এবং নাইট ভিজন ডিভাইসের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চলছে।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তারা সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, ভারত সরকারের পরিষ্কার নীতি হলো – কোনো উত্তেজনায় জড়ানো নয়, কিন্তু কোনো আক্রমণ হলে কঠোর জবাব দেওয়া।
স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা
সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুল-কলেজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bangladesh: ভারতে গুম আওয়ামী লীগের লক্ষ কর্মী, বিতর্কিত বক্তব্য মাহফুজের!
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
সেনা সূত্রে জানা গেছে, এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে। তাই সীমান্তবর্তী সমস্ত সেনা ক্যাম্পকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। একইসাথে, কূটনৈতিক স্তরে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে বলেও জানা গেছে।