ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের বিমানবন্দর পরিষেবা খাতে বড়সড় আলোড়ন (India Turkey Conflict)। নয়াদিল্লি বৃহস্পতিবার এক নির্দেশিকার মাধ্যমে তুরস্ক-সংক্রান্ত সন্দেহজনক সংযোগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘সেলেবি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে দেশের ৯টি বিমানবন্দরে আর কাজ করতে পারবে না সংস্থাটি।
সেলেবি অ্যাভিয়েশন ইন্ডিয়ার অবস্থান (India Turkey Conflict)
তবে এর পরপরই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে মাঠে নামে সংস্থা (India Turkey Conflict)। সেলেবি অ্যাভিয়েশন ইন্ডিয়া একটি বিবৃতি জারি করে জানায়, তারা তুরস্ক সরকারের কোনও অঙ্গ নয়, বরং একটি পেশাদার, বেসরকারি, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সংস্থা। তাদের দাবি, “আমরা কোনওভাবেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান (Recep Tayyip Erdoğan) কিংবা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যুক্ত নই। সুমেয় এর্ডোয়ান নামে কেউ সংস্থার মালিকানায় নেই। এই প্রতিষ্ঠান শুধুই সেলেবিওগলু পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন, যাঁদের কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই।”
কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ও বিতর্ক (India Turkey Conflict)
ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার (India Turkey Conflict)। বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির পর্যবেক্ষণের ফল বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, কিছু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে, সেলেবির সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কন্যা সুমেয় এর্ডোয়ানের যোগ রয়েছে — যা সংস্থার তরফে একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। বিশেষত, পাকিস্তানের মদতে পহেলগাঁওয়ে হওয়া জঙ্গি হামলার পরে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিক্রিয়ায় এর্ডোয়ানের প্রকাশ্য পাকিস্তানপ্রীতি এবং ভারত-বিরোধী অবস্থান নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। অভিযোগ ওঠে, তুরস্কের তৈরি ড্রোন পাকিস্তান ব্যবহার করছে ভারতের উপর হামলার জন্য। এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিমানবন্দরগুলিতে তুরস্ক-যোগ suspected সংস্থার সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়(India Turkey Conflict)।

আরও পড়ুন: Putin Zelenesky Meeting : বৃহস্পতিতেও রাশিয়া-ইউক্রেন “সংঘর্ষবিরতি” আলোচনা নিয়ে অনিশ্চয়তা !
সংস্থার দাবি, কোনও রাজনীতি সংযোগ নেই (India Turkey Conflict)
সেলেবি অ্যাভিয়েশন দাবি করেছে, তাদের কাজ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং তাদের কার্যকলাপে কোনও বিদেশি সরকার, রাজনৈতিক গোষ্ঠী বা রাষ্ট্রনেতার প্রভাব নেই। এক বিবৃতিতে সংস্থা জানায়, “আমরা বিভ্রান্তিকর সংবাদ ও জল্পনার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিচ্ছি। সংস্থার নিরাপত্তা এবং পেশাদারিত্ব প্রশ্নাতীত।”

আরও পড়ুন: S Jaishankar : পহেলগাঁও কান্ডের নিন্দা করায় কাবুলকে ধন্যবাদ জানালেন জয়শঙ্কর !
পরবর্তী পদক্ষেপ কী? (India Turkey Conflict)
এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে সংস্থার ভারতে কার্যক্রম কীভাবে চালু থাকবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে (India Turkey Conflict)। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারও বিমানবন্দরগুলির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া আরও কঠোর করতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সেলেবি অ্যাভিয়েশনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের পদক্ষেপ শুধুমাত্র নিরাপত্তাজনিত নয়, বরং তা আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রতিফলনও বটে। বিদেশি সংস্থা ভারতের কৌশলগত পরিকাঠামোয় কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়েই এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।