ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারত ও আমেরিকার মধ্যে (India US Trade Deal) বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যমান, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্কের উপর বেশ কিছু টানাপোড়েন দেখা গেছে। শুল্কনীতি, বাণিজ্য ভারসাম্য এবং বাজারে প্রবেশাধিকারের মতো ইস্যুগুলিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে, সাম্প্রতিক ইঙ্গিত বলছে যে দুই দেশই এবার বোঝাপড়ার পথে এগোচ্ছে।
শীঘ্রই একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে (India US Trade Deal)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক বক্তব্যে জানিয়েছেন যে, ভারতের সঙ্গে (India US Trade Deal) বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা খুব ভালোভাবেই এগোচ্ছে এবং শীঘ্রই একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। এই চুক্তির বিষয়ে ভারতই প্রথমে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, কিছু সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন, যেখানে দুই দেশের নেতারা বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা করেন।
সম্পত্তির সুরক্ষার মতো বিষয়েও সমঝোতা প্রয়োজন (India US Trade Deal)
এই বাণিজ্যচুক্তির পেছনে মূল লক্ষ্য হলো পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও গভীর ও স্থিতিশীল (India US Trade Deal) করে তোলা। বর্তমানে ভারত-আমেরিকার মধ্যে বছরে প্রায় ১৯,১০০ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা আদানপ্রদান হয়। দুই দেশই এই পরিমাণকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০,০০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য স্থির করেছে। এটি অর্জন করতে হলে শুধু শুল্ক হ্রাস নয়, বরং প্রযুক্তি হস্তান্তর, কৃষি ও শিল্পখাতে সহযোগিতা, এবং বৌদ্ধিক সম্পত্তির সুরক্ষার মতো বিষয়েও সমঝোতা প্রয়োজন।

আলোচনার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা
তবে, পথটা সহজ নয়। ট্রাম্প প্রশাসন ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা পাল্টা শুল্কনীতির মাধ্যমে যেসব দেশ আমেরিকার পণ্যে শুল্ক আরোপ করে, তাদের পণ্যের উপরেও সমান হারে শুল্ক বসানোর নীতি চালু করেছিল। এর ফলে ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তা সত্ত্বেও, উভয় দেশই কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
আলোচনার অগ্রগতিতে সন্তোষ
এপ্রিল মাসে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের ভারত সফর এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সরকারি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, বৈঠকে দুই পক্ষই চুক্তি নিয়ে আলোচনার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: SIT Investigation: কী ভাবে আগুন লাগল? অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির পর সিট গঠন পুলিশের
সবমিলিয়ে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে আসন্ন বাণিজ্যচুক্তি শুধু দুই দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে না, বরং বৈশ্বিক বাণিজ্যনীতিতেও এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। আপনি কি জানতে চান, এই চুক্তি হলে ভারতীয় কৃষি ও প্রযুক্তি খাতে কী প্রভাব পড়তে পারে?