ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কোনও সাধারণ নাগরিক বা সেনাঘাঁটি নয়, টার্গেট শুধুই জঙ্গিঘাঁটি। ভারতীয় সেনার তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে—‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কোনও সাধারণ নাগরিক বা সেনাঘাঁটিকে নিশানা করা হয়নি (Indian Army Strike)। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট ভবনগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে, যেগুলি থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানো হচ্ছিল। কর্নেল সোফিয়া এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা বলেন, “এখনও পর্যন্ত কোনও সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি হয়নি। সেনাঘাঁটিতে কোনও হামলা হয়নি। আমরা শুধু সন্ত্রাসের পরিকাঠামোকে নিশানা করেছি।”
কোথায় কোথায় হামলা চালানো হয়েছে? (Indian Army Strike)
অপারেশনের আওতায় যে সব স্থানে হামলা চালানো হয়েছে তার তালিকা দিয়েছেন কর্নেল সোফিয়া ও ব্যোমিকা:
- শিয়ালকোটের সার্জাল ক্যাম্প (আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৬ কিমি দূরে)
- মেহমুনা জোয়া ক্যাম্প — হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি, এখান থেকেই পঠানকোটে হামলা হয়েছিল
- মারকাজ তৈবা, মুরিদকে — এখান থেকেই ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, আজমল কসাব এখান থেকেই এসেছিল

মসজিদের ছায়ায় লুকোনো জঙ্গি ঘাঁটি ছিল টার্গেট (Indian Army Strike)
সেনা জানিয়েছে, কিছু ধর্মীয় স্থাপনার ভিতরে লুকানো ছিল জঙ্গি ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেই কারণেই সুনির্দিষ্ট স্ট্রাইক করা হয়েছে:
- শুভান আল্লাহ মসজিদ — লশকর-ই-তৈবার ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
- বিলাল মসজিদ, মুজাফফরাবাদ — জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবির
- আব্বাত মসজিদ, কোটলি — লশকর ঘাঁটি, যেখান থেকে পুঞ্চ সেক্টরে হামলা পরিচালিত হতো
এসব জঙ্গিঘাঁটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ছিল বলে সেনা সূত্রের দাবি।
‘এটি আত্মরক্ষার অধিকার’ বার্তা বিদেশসচিবের (Indian Army Strike)
ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী বলেন, “পহেলগাঁওয়ের ঘটনা ছিল মুম্বই হামলার পর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী হানা। সাধারণ মানুষের সামনে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। কাশ্মীরের উন্নয়নেই ছিল এই আঘাত।”
তিনি আরও জানান, TRF (The Resistance Front) এই হামলার দায় স্বীকার করলেও পিছনে রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ ও লশকর-ই-তৈবা। বিদেশসচিবের বক্তব্য, “এই জবাব ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ। রাষ্ট্রপুঞ্জও এই হামলার নিন্দা করে বলেছে, ন্যায়বিচার প্রয়োজন।”
কেন ছিল এই হামলা অপরিহার্য? ব্যাখ্যা করলেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা (Indian Army Strike)
সেনা আধিকারিক বিক্রম বলেন, “পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে আসছে। তারা জেনেশুনে জঙ্গিদের লুকিয়ে রেখেছে (Indian Army Strike)। পহেলগাঁওয়ের হামলার পর জনমনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সেটাই ভারতের জবাব দেওয়ার নৈতিক ভিত্তি তৈরি করেছে।”
তিনি যোগ করেন, “এই আঘাত শুধু জবাব নয়, আগামী দিনের হামলা প্রতিরোধের প্রস্তুতিও বটে। তথ্যপ্রমাণ ছিল, আরও হামলার পরিকল্পনা চলছিল। সেগুলিকে রুখতেই এই প্রিসিশন স্ট্রাইক জরুরি হয়ে উঠেছিল।”