ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতীয় অর্থনীতি আগামী দুই অর্থবছরে ৬.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি (Indian GDP Growth) পাবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মনিটারই ফান্ড (আইএমএফ)। ১৭ জানুয়ারি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক আপডেটে আইএমএফ এই তথ্য দিয়েছে।
অপরিবর্তিত পূর্বাভাস (Indian GDP Growth)
অক্টোবরের আপডেটে আইএমএফের পূর্বাভাস যা ছিল, তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে (Indian GDP Growth)। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা ভারতের সরকারের অনুমান করা ৬.৪ শতাংশের থেকে একটু বেশি।
আইএমএফ জানিয়েছে, “ভারতে, ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি অক্টোবরের পূর্বাভাস এবং ভারতের সম্ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
আরও পড়ুন: Gold Price: ঊর্ধ্বমুখী সোনার দাম, মার্কিন ডলার বৃদ্ধির পরও সোনার বাজার উজ্জ্বল
অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ধীরগতি (Indian GDP Growth)
এই মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় অর্থনীতি ৮.২ শতাংশ থেকে ৬.৪ শতাংশে নেমে এসেছে (Indian GDP Growth)। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে উৎপাদন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির মন্দার কারণে এই ধীরগতি দেখা গেছে।
২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার সাত ত্রৈমাসিকের সর্বনিম্ন ৫.৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
আইএমএফ-এর পূর্বাভাসের আগে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে আগামী দুই অর্থবছরে ভারতীয় অর্থনীতি ৬.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, উৎপাদন খাতে উন্নতির আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
ধীরগতির সত্ত্বেও, ভারত বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধির দেশ হিসেবে অবস্থান বজায় রাখবে।
বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীল বৃদ্ধি
ভারতের মতোই, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও আগামী দুই বছরে স্থিতিশীল থাকবে। ২০২৪ সালে ৩.২ শতাংশ থেকে ৩.৩ শতাংশে সামান্য উন্নতি হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Child Care Tips: অল্পতেই রেগে যায় সন্তান? কীভাবে আনবেন নিয়ন্ত্রণে? রইলো সহজ উপায়
আইএমএফ বলেছে, “মাঝারি মেয়াদে ঝুঁকিগুলি নিম্নমুখী হলেও, নিকটবর্তী সময়ে ঝুঁকিগুলি বিভাজিত। যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী বৃদ্ধি স্বল্পমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে অন্যান্য দেশে নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে ঝুঁকি বাড়ছে।”
প্রোটেকশনিজমের হুমকি
আইএমএফ আরও জানিয়েছে যে, ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদ (প্রোটেকশনিজম) অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
“যদি সুরক্ষাবাদী নীতিগুলি আরও তীব্র হয়, যেমন নতুন ট্যারিফ আরোপ করা হয়, তাহলে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে, বিনিয়োগ হ্রাস পেতে পারে, বাজারের দক্ষতা কমে যেতে পারে, এবং সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হতে পারে,” বলেছে আইএমএফ।