ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতীয় নৌবাহিনী ২০২৪ সালের ২০ এবং ২১ নভেম্বর তারিখে সারা দেশে চতুর্থ পর্যায়ের উপকূলীয় প্রতিরক্ষা মহড়া ‘সি ভিজিল-২৪’ (Sea Vigil-24) শুরু করতে প্রস্তুত। ‘সি ভিজিল’-এর এই চতুর্থ সংস্করণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে ৬টি মন্ত্রক এবং ২১টি সংস্থা বা এজেন্সি অংশগ্রহণ করবে।
প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রস্তুতি মূল্যায়ন (Sea Vigil-24)
মহড়ার (Sea Vigil-24) উপকূলীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রস্তুতি মূল্যায়ন (সিডিএসআরই) পর্যায়টি অক্টোবরের শেষ থেকে সব উপকূলীয় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির নৌবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে আন্দামানও নিকবর দ্বীপ এবং লাক্ষাদ্বীপও রয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ উপকূলীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিকাঠামোর একটি বিস্তৃত পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই বছর, প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েটের কর্মকর্তারা রাজ্য মেরিন পুলিশ, কোস্ট গার্ড, কাস্টমস, মৎস্য বিভাগ এবং অন্যান্য সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনী নেতৃত্বাধীন সিডিএসআরই দলের অংশ হিসেবে থাকবেন।
আরও পড়ুন: Swiggy IPO: কর্মচারী থেকে কোটিপতি! সুইগির আইপিও-তে লাভের মুখ দেখবেন বহু বিনিয়োগকারী
মূল লক্ষ্য (Sea Vigil-24)
মহড়ার (Sea Vigil-24) মূল লক্ষ্য হলো বন্দর, তেল রিগ, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং, কেবল ল্যান্ডিং পয়েন্ট এবং সমুদ্র উপকূলীয় সম্পদগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর নিরাপত্তা জোরদার করা। এই বছর, অন্যান্য বাহিনী, যেমন সেনা বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর অংশগ্রহণ এবং অনেক জাহাজ ও বিমান মোতায়েনের পরিকল্পনা মহড়ার গতি বাড়িয়েছে।
শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে
সি ভিজিল (Sea Vigil-24) শুরু হয় ২০১৮ সালে। এর মূল ধারণা ছিল যে ‘সি ভিজিল’ উপকূলীয় প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলিকে যাচাই করা এবং উন্নত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি ২৬/১১-র মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার পর শুরু হয়েছিল।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্ত হন আমাদের সঙ্গে। ক্লিক করুন এখানে।
ব্যাপ্তি
এই মহড়াটি ১১,০৯৮ কিলোমিটার উপকূলরেখা এবং ২৪ লক্ষ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোনের সঙ্গে যুক্ত সম্পূর্ণ উপকূলীয় নিরাপত্তা পরিকাঠামো এবং বাকি সব সামুদ্রিক স্টেকহোল্ডারদের একজোট করবে। এর মধ্যে জেলে সম্প্রদায় এবং উপকূলীয় জনগণও রয়েছেন। মহড়ার একটি লক্ষ্য হলো উপকূলে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সেই কারনে জেলে সম্প্রদায়, উপকূলীয় জনগণ এবং এনসিসি ও ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস-এর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এই প্রচেষ্টায় উৎসাহ যোগাবে।
নিয়মিত মহড়া
উপকূলীয় রাজ্য ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থাগুলি নিয়মিতভাবে উপকূলীয় নিরাপত্তা মহড়া পরিচালনা করে। কিন্তু ভারতীয় নৌবাহিনীর সমন্বয় করা এই মহড়া জাতীয় পর্যায়ের একটি উদ্যোগ। এটি অনন্য কারন এই মহড়া ভারতের সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সক্ষমতার একটি সামগ্রিক মূল্যায়ন প্রদান করে।
আরও পড়ুন: Bulldozer Justice: ইচ্ছেমত ‘বুলডোজারের’ ব্যবহার নয়, কড়া গাইডলাইন সুপ্রিমকোর্টের
মূল্যায়ন
এই মহড়াটি সমস্ত সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থার বর্তমান প্রস্তুতি মূল্যায়ন করার, তাদের শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করার এবং দেশের সামগ্রিক সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা কাঠামো উন্নত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ দেয়। ‘সি ভিজিল-২৪’ মহড়াটি ভারতের সামুদ্রিক সীমানা সুরক্ষার প্রশ্নে বাহিনীর প্রতিশ্রুতি দৃঢ় করার এবং উপকূলীয় প্রতিরক্ষায় সকল স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টাকে নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। ভারতীয় নৌবাহিনী প্রতি দুই বছর অন্তর এই অনুশীলন করে। এই অনুশীলনকে থিয়েটার লেভেল রেডিনেস, অপারেশনাল এক্সারসাইজ (ট্রপেক্স)-এর পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।