ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জন্মদিনেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজায় একটি আবাসন থেকে ভারতীয় বধূর মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে(UAE)।মৃতার নাম অথুল্যা শেখর।তিনি কেরলের কোল্লমের বাসিন্দা। গত শনিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। স্বামী সতীশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে অথুল্যার পরিবার।ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার মা।
বিয়ের পর থেকে অত্যাচার (UAE)
গাল্ফ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৪ সালে সতীশের সঙ্গে বিয়ে হয় অথুল্যার(UAE)।অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে স্বামী। বিয়ের সময় বাইক, সোনা দেওয়া হলেও মন ভরেনি সতীশের।বিয়ের পর থেকে স্ত্রীয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত সতীশ। বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ দিত। মৃতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে,১৮ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে অথুল্যার উপর অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। অভিযোগ, অথুল্যার পেটে লাথি মারা হয়। তাঁর মাথায় প্লেট দিয়ে আঘাত করে সতীশ। যার ফলে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।সে দিনই অথুল্যার ৩০তম জন্মদিন ছিল।

মদের নেশায় আসক্ত স্বামী (UAE)
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় সতীশের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ(UAE)। শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচারের ধারায় অভিযোগ দায়েরও হয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। কেরলের কোল্লামের বাসিন্দা অথুল্যার একটি ১১০ বছরের মেয়েও রয়েছে। মৃতার বাবা পুলিশকে জানান, সতীশ মদের নেশায় আসক্ত থাকত। সে মাঝে মধ্যেই হিংস্র হয়ে উঠত। তাঁর মেয়েকে মারধর করার খবর পাওয়ার পর ঠিক করেছিলেন তিনি তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসবেন। কিন্তু সেটা আর হল না।
খুনের অভিযোগ অস্বীকার স্বামীর (UAE)
যদিও স্ত্রীকে মারধর ও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সতীশ। সতীশ জানিয়েছে, কীভাবে তার স্ত্রী মারা গেল সেটা সে জানে না। নিজেও জানতে আগ্রহী। সে খুন করেনি। তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হতো একথা সত্যি। তবে খুনের প্রশ্নই ওঠে না। তবে মৃতার বাবা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওর সঙ্গে মেয়ের দারুণ সম্পর্ক ছিল। ওর মৃত্যু রহস্যজনক। সতীশ অত্যাচার করত দিনের পর দিন। এর আগে থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলাম। তবে কাজ হয়নি। আমি চাই দোষী শাস্তি পাক।’

আরও পড়ুন-Vijay Utsav: বর্ষাকালীন অধিবেশনকে ‘অপারেশন সিঁদুর-এর বিজয়োৎসব ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
মা-মেয়ের দেহ উদ্ধার (UAE)
এর আগে ৮ জুলাই কেরলের এক গৃহবধূ ও তাঁরে মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছিল শারজা থেকে(UAE)। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে বিপঞ্চিকার পরিবার।মৃতার ঘর থেকে মলয়ালম ভাষায় একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেখানে তিনি শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছেন। জামাই নিধেশ বালিয়াভিত্তিল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিপঞ্চিকাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর মা শ্যামলা। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বিপঞ্চিকাকে। তা নিয়ে নিত্যদিন অশান্তি হত।
