ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ঠিক এক দিন পরেই পাকিস্তান ৫০ জনের একটি জঙ্গি দলকে জম্মু সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছিল বলে দাবি করল বিএসএফ (Infiltration Foiled)। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএসএফের ডিআইজি এসএস মাঁদ জানিয়েছেন, সময়োচিত প্রতিরোধে সেই চেষ্টাকে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করা সম্ভব হয়েছে।
অনুপ্রবেশের চেষ্টা ও সংঘর্ষ (Infiltration Foiled)
ডিআইজি মাঁদ জানিয়েছেন, ৮ মে গভীর রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় ৪০-৫০ জনের একটি জঙ্গি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় (Infiltration Foiled)। তাদের সহযোগিতা করে সীমান্তের ও পাশ থেকে পাকিস্তানি সেনারা, যারা ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে। এই গোলাগুলিকে আড়াল হিসেবে ব্যবহার করে জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করতে চায়। “আমাদের কাছে আগে থেকেই গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে একটি বড় জঙ্গি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। সীমান্তে সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসতেই জওয়ানরা প্রস্তুত ছিল। জঙ্গিরা গুলির মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়,” — জানান ডিআইজি।
সেনা অভিযানের কৌশল ও প্রতিহতকরণ (Infiltration Foiled)
বিএসএফের তরফে পাল্টা গুলি ও বোমাবর্ষণের মাধ্যমে সীমান্তে ‘স্ট্যান্ডিং ফায়ার অর্ডার’ মোতাবেক দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানো হয় (Infiltration Foiled)। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ক্রমাগত গোলাগুলির মধ্যেও ভারতীয় বাহিনী (INDIAN ARMY) নিয়ন্ত্রণ হারায়নি, এবং বড় ধরনের নাশকতা ঘটতে দেয়নি। এই ঘটনায় কোনো ভারতীয় জওয়ানের প্রাণহানি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। এলাকা এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চিরতরে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাক প্রতিক্রিয়া (Infiltration Foiled)
পাকিস্তানের মাটিতে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় (Infiltration Foiled)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তার পরদিনই এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, পাকিস্তান ভারতের অভিযানের কৌশলী জবাব দিতে ‘প্রক্সি ওয়ারফেয়ার’-এর পথেই হাঁটছে।
আঞ্চলিক অস্থিরতা ও যুদ্ধবিরতির প্রশ্ন (Infiltration Foiled)
প্রসঙ্গত, ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চতুর্দিন ব্যাপী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি হয় (Infiltration Foiled)। কিন্তু তার আগে ও পরে পাকিস্তান একাধিকবার নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে। এমনকি পঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হানার চেষ্টাও করে পাকিস্তান, যেগুলো ভারত সফলভাবে প্রতিহত করেছে।

উপসংহার: স্থিতিশীলতা না উত্তেজনা? (Infiltration Foiled)
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট, ইসলামাবাদ কূটনৈতিকভাবে নয়, সামরিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইছে। অনুপ্রবেশের এই চেষ্টা কেবল সীমান্ত লঙ্ঘন নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় ফের জঙ্গি তৎপরতা জোরদার করার প্রচেষ্টা।বিএসএফ ও সেনার দৃঢ় প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থা আপাতত সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলেছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাগুলি কেবলই ‘প্রকাশ্য যুদ্ধ’-এর বাইরেও এক অনবরত চলা ছায়াযুদ্ধের ইঙ্গিত দেয়, যার প্রেক্ষাপটে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠছে।