ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনার আবহে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য প্রকাশ্যে আনল আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা(Iran Israel Conflict)। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে হত্যার ছক কষেছিল ইজরায়েল। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় আপত্তি জানিয়ে তা আটকে দেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
খামেনেইকে হত্যার ষড়যন্ত্র (Iran Israel Conflict)
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প (Donald J. Trump) প্রশাসনের দুই শীর্ষ আধিকারিক এই বিষয়ে মুখ খোলেন(Iran Israel Conflict)। তাঁদের একজন জানান, “ইজরায়েল জানায়, তারা আয়াতোল্লা খামেনেইকে হত্যার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু তাতে আমরা সায় দিইনি। কারণ এখনও পর্যন্ত কোনও আমেরিকান নাগরিককে ইরান সরাসরি হত্যা করেনি। তাই আমরা ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে টার্গেট করার বিষয়ে রাজি হইনি।”
ইরানে রাজনৈতিক পরিবর্তন (Iran Israel Conflict)
এই দাবি সামনে আসার পরেই আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা(Iran Israel Conflict)। যদিও স্পষ্ট নয়, ট্রাম্প নিজে সরাসরি ইজরায়েলকে এই বার্তা দেন কি না। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এ নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। অনেক সময় অনেক ভুয়ো খবর ছড়ায়।”তবে নেতানিয়াহু একই সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমাদের সামরিক পদক্ষেপের ফলে ইরানে রাজনৈতিক পরিবর্তন আসতে পারে।” যদিও তিনি স্পষ্ট করেননি, এখানে ‘রাজনৈতিক পরিবর্তন’ বলতে ইরানের প্রেসিডেন্টকে বোঝাচ্ছেন, না সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে।

হামলার নেপথ্যে আমেরিকার মদত(Iran Israel Conflict)
ইরানে সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাজনীতিকদের নয়, ধর্মীয় নেতার হাতেই। আয়াতোল্লা খামেনেই সেই ক্ষমতার সর্বোচ্চ আসনে বসে আছেন ১৯৮৯ সাল থেকে। ফলে তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসা নিঃসন্দেহে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে। এই অবস্থায় ইরান দাবি করেছে, ইজরায়েলের হামলার নেপথ্যে আমেরিকার মদত রয়েছে। আর সেই যুক্তিতে তারা পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটিগুলিকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ইরান ও ইজরায়েলের বোঝাপড়া(Iran Israel Conflict)
ট্রাম্প অবশ্য জানিয়েছেন, যদি আমেরিকার উপর হামলা হয়, তাহলে ইরানকে “তছনছ করে দেওয়া হবে”। তবে একইসঙ্গে তিনি সংঘর্ষ থামানোর পক্ষেও বার্তা দিয়েছেন। রবিবার রাতে নিজের সামাজিক মাধ্যম হ্যান্ডলে ট্রাম্প লেখেন, “ইরান ও ইজরায়েলের বোঝাপড়ায় আসা উচিত, এবং তারা আসবেও। আমি অনেক কিছু করছি, কিন্তু কৃতিত্ব চাই না। মানুষ সব বোঝে। চলুন, পশ্চিম এশিয়াকে আবার মহান করে তুলি।”বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই দুই রূপ—একদিকে কড়া হুঁশিয়ারি, অন্যদিকে বোঝাপড়ার বার্তা—উভয় পক্ষের উপর চাপ তৈরির কৌশল। তবে ইজ়রায়েলের পক্ষ থেকে যেভাবে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে নিশানা করার কথা প্রকাশ্যে এসেছে, তা সংঘাতকে এক বিপজ্জনক মোড়ে নিয়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।