ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রবিবার ভোরে নতুন করে বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রে (Iran Missile Strike) চরম উত্তেজনা তৈরি হল। ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্র ফরডো, নাতান্জ এবং ইসফাহানে—মার্কিন সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান হামলা চালিয়েছে। এই কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এক ভিডিও বার্তায় জানান। এরপর আমেরিকার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, ইরান যদি শান্তিপথে না আসে, তবে আরও কঠোর সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শহরজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ (Iran Missile Strike)
মার্কিন এই হামলার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা (Iran Missile Strike) মধ্যপ্রাচ্য। ২২ জুন সকাল থেকেই ইরান পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইজরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করে। ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভে সাইরেন বাজিয়ে নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। জেরুসালেম শহরজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র গুলি আটকাতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সক্রিয় রয়েছে।
প্রকাশ্যে মার্কিন হামলার প্রশংসা (Iran Missile Strike)
এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও (Iran Missile Strike) ছিল তীব্র। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে মার্কিন হামলার প্রশংসা করে বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় শক্তি প্রয়োগ।” তিনি আরও জানান, ইরানকে মোকাবিলা করতে হলে আরও কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই পথে ইজরায়েল আমেরিকার পাশে আছে।
ইরানের পক্ষ থেকেও পাল্টা হুঁশিয়ারি
তবে ইরানের পক্ষ থেকেও পাল্টা হুঁশিয়ারি এসেছে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হোসেন শরিয়তমাদারি সরাসরি বলেন, এবার পালা ইরানের। তিনি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার ডাক দেন এবং বাহরিনে অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটিতে হামলার ইঙ্গিত দেন। তার মতে, আমেরিকার এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এখনই পাল্টা জবাব দেওয়া জরুরি।
তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ মেলেনি
এদিকে, ইরানের জাতীয় পারমাণবিক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, হামলার পর কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ মেলেনি। ফরডো, ইসফাহান এবং নাতান্জ কেন্দ্রগুলির অবস্থা নিরাপদ বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Monsoon Fashion: বৃষ্টির দিনে কী পোশাক বেছে নেবেন অফিসের জন্য? রইল সহজ সমাধান
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে এটি এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধের রূপ নিতে পারে, যার প্রভাব পড়বে শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, বরং গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে। এখন গোটা আন্তর্জাতিক মহল তাকিয়ে আছে, কে প্রথম আলোচনায় বসবে, আর কে বাড়াবে আগুনের আঁচ!