Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে ইজরায়েল ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়(Israel Attack On Qatar)। ১৫টি যুদ্ধবিমান নিয়ে এই অপারেশন চালানো হয়। ইজরায়েলের দাবি, হামলার আগে তারা আমেরিকাকে জানিয়েছিল এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও(Donald J. Trump) বিষয়টি অবগত ছিলেন। তবে ট্রাম্পের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সতর্কবার্তা পাঠাতে বিলম্ব হওয়ায় কাতারকে আগেভাগে জানানো সম্ভব হয়নি।
ট্রাম্পের দ্বিচারিতা ও প্রতিক্রিয়া (Israel Attack On Qatar)
ট্রাম্প প্রথমে বলেন, ‘‘আক্রমণ ঠেকাতে দেরি হয়ে গিয়েছিল(Israel Attack On Qatar)।’’ পরে আবার জানান, ‘‘এটি আমার সিদ্ধান্ত ছিল না।’’ এমনকি তিনি এক পর্যায়ে নেতানিয়াহুকেও ভর্ৎসনা করেন, ‘‘একতরফা ভাবে কাতারের মাটিতে বোমা বর্ষণ আমেরিকা বা ইজরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করছে না।’’ কিন্তু ঘটনাচক্রে এই অবস্থান তাঁর দ্বিচারিতা প্রকাশ করেছে। কারণ, চার মাস আগেই কাতার ট্রাম্পকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭–৮ বিমান উপহার দিয়েছিল। এছাড়া তাঁর ছেলে এরিক ট্রাম্পও কাতারে নতুন ট্রাম্প ব্র্যান্ডের গলফ কোর্সের চুক্তি সম্পন্ন করেছেন।
কাতারের ক্ষোভ ও অভিযোগ(Israel Attack On Qatar)
কাতার এই হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়(Israel Attack On Qatar)। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘‘কেবল বিবৃতি দিয়ে থেমে থাকব না, এর বিরুদ্ধে সমস্ত কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ হামলায় তাঁদের এক নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন এবং হামাসের পাঁচজন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বেঁচে গিয়েছেন।
মার্কিন প্রশাসনের অস্বস্তি(Israel Attack On Qatar)
হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জানান, ট্রাম্প বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে কাতারকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই বার্তা পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে হামাস নির্মূলকে ‘‘যোগ্য লক্ষ্য’’ বলেও সমর্থন জানায়। ফলে আমেরিকার অবস্থান আরও বিভ্রান্তিকর হয়ে দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন : Nepal Gen Z Protest : নেপালের সহিংসতা তাঁদের নয়,বহিরাগতদের পরিকল্পিত! অভিযোগ আন্দোলন তরুণদের
আরব বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া
ইজরায়েলের এই হামলার ফলে এক বিরল কূটনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে(Israel Attack On Qatar)। সাধারণত পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকা ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও তুরস্ক একসঙ্গে ইজরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বড় ধাক্কা লাগবে।
ট্রাম্পের ভাবমূর্তির ক্ষতি
ট্রাম্প নিজেকে সব সময় শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন(Israel Attack On Qatar)। কিন্তু কাতারে হামলার ঘটনায় তাঁর সেই ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘‘আমেরিকা নিজের ঘনিষ্ঠ মিত্রকেই বিশ্বাসঘাতকতা করল’’—এই ধারণা এখন আরব বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, যেখানে ট্রাম্পকে সরাসরি ‘‘প্রতারক মিত্র’’ বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : CJI Gavai On Nepal Unrest : নেপাল প্রসঙ্গে দেশের সংবিধান নিয়ে গর্ব প্রকাশ করলেন বিচারপতি গবই
মার্কিন প্রশাসনের আশ্বাস(Israel Attack On Qatar)
কাতার জানিয়েছে, তারা হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলকে সংগঠিত করবে। এদিকে মার্কিন প্রশাসন কাতারকে আশ্বস্ত করেছে যে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একবার বিশ্বাস নষ্ট হলে তা পুনর্গঠন করা কঠিন। কাতার এখন আমেরিকার উপর কতটা আস্থা রাখবে, সেটিই আগামী দিনের বড় প্রশ্ন।