ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গাজা উপত্যকায় ক্রমবর্ধমান (Israel Gaza Conflict) মানবিক সংকট এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে, ইজরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করলেও বাস্তব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি তুলে ধরছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজার কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ থাকবে। এই সময়টিকে ‘মানবিক উইন্ডো’ বলা হচ্ছে, যাতে ক্ষুধার্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে পারে। ঘোষণায় বলা হয়, আল-মাওয়াসি, দের এল-বালাহ, গাজা সিটি সহ কিছু নির্দিষ্ট এলাকাকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঘোষণা কতটা কার্যকর? (Israel Gaza Conflict)
তবে এই ঘোষণা কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন (Israel Gaza Conflict) উঠেছে। পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার দিনেই গাজায় ইজরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত হন। স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলা থামেনি, বরং আকাশপথে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। একটি বেকারির ওপর হামলার ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অনাহারে মৃতের সংখ্যা…(Israel Gaza Conflict)
খাদ্য ও ওষুধের অভাব এখন (Israel Gaza Conflict) চরমে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে এবং অপুষ্টিজনিত কারণে আরও ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু এবং মাত্র পাঁচ মাস বয়সী এক শিশুও রয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৩ জনে। হাসপাতালে বহু মানুষ অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন, কিন্তু চিকিৎসকেরাও খাবার পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: Monday Horoscope: শ্রাবণের সোমবারের রাশিফল, কার মাথায় থাকবে মহাদেবের আশীর্বাদের হাত?
দুর্ভিক্ষ হিসেবে স্বীকার করতে নারাজ
ইজরায়েল যদিও স্বীকার করেছে গাজায় খাদ্যের সংকট রয়েছে, তবে তারা এটিকে দুর্ভিক্ষ হিসেবে স্বীকার করতে নারাজ। দীর্ঘদিন ধরেই তারা হামাসকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের পাঠানো ত্রাণও বারবার আটকে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুসহ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
যুদ্ধবিরতির আড়ালে যেন মৃত্যুর গল্প!
বর্তমানে ইজরায়েল আকাশপথে ত্রাণ ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেই ত্রাণ যথেষ্ট নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে ত্রাণবাহী বস্তার আঘাতে মানুষ আহত হচ্ছে। যেটুকু ত্রাণ আসছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের এই কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, পরিকল্পিতভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষ তৈরি করে মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে তারা। যুদ্ধবিরতির আড়ালে যেন মৃত্যুর গল্পই প্রতিদিন লিখে চলেছে গাজা।