ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মধ্যপ্রাচ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে নতুন মোড়(Israel Hamas Conflict)। হামাস বিরোধী লড়াইয়ে গাজারই কিছু স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে কাজে লাগাচ্ছে ইজরায়েল—প্রথমবার এই তথ্য স্বীকার করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গাজায় সশস্ত্র সংঘর্ষ ও মানবিক সঙ্কট (Israel Hamas Conflict)
গত কয়েক মাসে গাজায় সশস্ত্র সংঘর্ষ ও মানবিক সঙ্কট চরমে উঠেছে (Israel Hamas Conflict)। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল সরকারের এমন কৌশল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এপি-র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইজরায়েলের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বিভাগের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। মূলত ‘পপুলার ফোর্সেস’ নামক একটি গোষ্ঠী, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ইয়াসের আবু শাবাব, তাদের সরাসরি সহায়তা করছে ইজরায়েল প্রশাসন।
‘পপুলার ফোর্সেস’ (Israel Hamas Conflict)
‘পপুলার ফোর্সেস’-এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০০, এবং তারা গাজার একাধিক অঞ্চলে সক্রিয় বলে জানা গেছে(Israel Hamas Conflict)। গত মাসেই ইজরায়েলের একটি প্রভাবশালী সংবাদপত্র হারেজৎজ় তাদের ‘সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী’ বলে উল্লেখ করে। যদিও অন্য একাংশের অভিযোগ, এই গোষ্ঠী শুধুমাত্র সন্ত্রাসবিরোধী নয়, বরং বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত। এমনকি গাজার ত্রাণশিবিরে লুটপাটের অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে।

ত্রাণশিবিরে রসদ সরবরাহ (Israel Hamas Conflict)
সম্প্রতি ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’-এর ত্রাণশিবিরে রসদ সরবরাহ নিশ্চিত করার দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছিল পপুলার ফোর্সেস(Israel Hamas Conflict)। এই ফাউন্ডেশনটি আমেরিকা ও ইজরায়েলের যৌথ সহায়তায় পরিচালিত হয়। ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আদৌ কি এই ‘মানবিক কাজ’ উদ্দেশ্য, নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের ব্যবহার করছে নেতানিয়াহু প্রশাসন?বিশ্লেষকদের মতে, হামাসকে দুর্বল করতে গাজার ভিতর থেকেই বিরোধী গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহ দেওয়ার কৌশল খুব পুরনো, তবে প্রকাশ্যে তার স্বীকৃতি এই প্রথম। এই পন্থা দীর্ঘমেয়াদে কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহল। অনেকের মতে, এতে গাজায় বিদ্বেষ আরও বেড়ে যেতে পারে, এবং বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তা আরও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন: Donald Trump : পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের! আলোচনায় ড্রোন হামলা থেকে ইরানের পরমাণু চুক্তি
ইজরায়েলের নীতিগত (Israel Hamas Conflict)
অন্যদিকে, এই ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে ইজরায়েলের নীতিগত অবস্থান নিয়েও। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে যদি বিতর্কিত গোষ্ঠীদের সাহায্য করা হয়, তবে তা নিজেই দ্বিচারিতার নজির হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মত মানবাধিকার সংগঠনগুলির।আপাতত নেতানিয়াহুর এই স্বীকারোক্তি গাজা-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন সময়ই বলবে। তবে এতটুকু নিশ্চিত, গাজায় সংঘর্ষ থামার সম্ভাবনা এখনও ক্ষীণ।