Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald J. Trump) বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া নতুন রফাসূত্র মেনে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হল ইজরায়েল (Israel Hamas Conflict)। হামাস আগেই এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিল। ফলে মাসের পর মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসানে আশার আলো দেখছেন আন্তর্জাতিক মহল।
পণবন্দি পরিবারের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহু (Israel Hamas Conflict)
বৃহস্পতিবার ইজরায়েলি পণবন্দিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Israel Hamas Conflict)। সেখানেই তিনি জানান, “ইজরায়েল উইটকফের নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।” এই প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম দফায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে। সেই সময়ের মধ্যে হামাস ১০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেবে। পাশাপাশি গাজ়ার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল থেকে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহারও করা হবে বলে সূত্রের খবর। পাল্টা হিসাবে কিছু প্যালেস্টিনি জেলবন্দিকেও মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।এই যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় বিশেষ ভূমিকা রয়েছে আমেরিকা, মিশর এবং কাতারের। গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের ‘আল কাশিম ব্রিগেড’-এর ইজরায়েলি ভূখণ্ডে আকস্মিক হামলার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা গাজা অঞ্চল। ইজরায়েল তৎপরতার সঙ্গে জবাব দিতে শুরু করে এবং ধারাবাহিকভাবে গাজায় চালানো হয় ভয়াবহ সামরিক অভিযান। বহু সাধারণ মানুষ হতাহত হন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বিস্তীর্ণ জনপদ (Israel Hamas Conflict)।
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ ইজরায়েলের (Israel Hamas Conflict)
এরপর কাতারের মধ্যস্থতায় জানুয়ারি মাসে প্রথমবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল দুই পক্ষ (Israel Hamas Conflict)। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকরও হয়। কিন্তু মার্চের গোড়ায় পণবন্দি মুক্তি সংক্রান্ত জটিলতা থেকেই যুদ্ধবিরতি একতরফাভাবে ভেঙে দেয় ইজরায়েল। ফের শুরু হয় গাজায় হামলা, যা অব্যাহত ছিল গত কয়েক সপ্তাহ ধরেও। নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) ঘোষণা করেছিলেন, গাজা ভূখণ্ড সম্পূর্ণভাবে দখলের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।এই প্রেক্ষিতে আমেরিকার তরফে নতুন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আসেন উইটকফ (Israel Hamas Conflict)। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য, দুই পক্ষকে ধাপে ধাপে যুদ্ধ থেকে দূরে সরিয়ে এনে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথে ঠেলে দেওয়া। শুরুতে সীমিত যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দি মুক্তি দিয়ে ধীরে ধীরে দ্বিপাক্ষিক আস্থা ফিরিয়ে আনতে চায় ওয়াশিংটন।


অবিশ্বাস ও প্রতিহিংসা দুই পক্ষের (Israel Hamas Conflict)
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই শান্তি আলোচনা সফল হলে বহু নিরীহ মানুষের প্রাণ বাঁচবে এবং গাজ়া অঞ্চলে মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর পথ খুলে যাবে (Israel Hamas Conflict)। প্রসঙ্গত, প্রায় তিন মাস পর এই সপ্তাহেই অবরুদ্ধ গাজায় রাষ্ট্রপুঞ্জের ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকার অনুমতি দিয়েছে ইজরায়েল সরকার।তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। হামাস এবং ইজরায়েল— উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস ও প্রতিহিংসা এই প্রক্রিয়াকে বারবার বিঘ্নিত করেছে অতীতে। তাই আন্তর্জাতিক মহল এখন অপেক্ষায়— উইটকফের রফাসূত্র আগামী দিনে স্থায়ী শান্তির পথে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।