ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গাজার পর এবার লেবাননে সামরিক অভিযান চালাল ইজরায়েলি বাহিনী (Israeli Military Bombs)। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে। লেবানন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় একটি বহুতল ধ্বংস হয়েছে এবং পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ধ্বংস স্তূপের নিচে আরও অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইজরায়েল দাবি করেছে, হামলায় হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। পশ্চিম এশিয়ার একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে দাবি করছে, হিজবুল্লাহও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইজরায়েলের দাবি ও লেবাননের প্রতিক্রিয়া (Israeli Military Bombs)
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী (Israeli Military Bombs) জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ এক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যেখানে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের এক গোপন বৈঠক চলছিল। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) বলেছেন, “আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা কোনো আপস করব না। যারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্যদিকে, লেবানন সরকার এই হামলাকে তাদের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। লেবাননের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলার ফলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও বিপন্ন হতে পারে।লেবাননের মন্ত্রিসভার এক মুখপাত্র বলেন, “ইজরায়েলের এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। আমরা এই হামলার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাব।”
যুদ্ধবিরতির চুক্তি ও ইজরায়েলের উলঙ্ঘন (Israeli Military Bombs)
গত নভেম্বর মাসে ফ্রান্স ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় ইজরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল (Israeli Military Bombs)। চুক্তির শর্তানুযায়ী, লেবানন সীমান্ত থেকে ইজরায়েলি বাহিনী ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং উভয় পক্ষ নতুন করে হামলা চালাবে না। কিন্তু লেবানন সরকার বলছে, ইজরায়েল একতরফাভাবে এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। ইতোমধ্যে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, “ইজরায়েলের এই আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। আমাদের প্রতিরোধ চলবে।”

জাতিসংঘের আহ্বান (Israeli Military Bombs)
ইজরায়েলের এই হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে (Israeli Military Bombs)। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (António Guterres) উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। ফ্রান্স ও আমেরিকা দ্রুত এই সংকট নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস দিয়েছে।

আরও পড়ুন: Imran Khan Nobel Peace : কেন নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন ইমরান খান?
লেবাননে নতুন অস্থিরতা (Israeli Military Bombs)
মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হলে পুরো অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে (Israeli Military Bombs)। বিশেষ করে, ইরান এই ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। ইজরায়েলের এই সামরিক হামলা লেবাননে নতুন অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে। লেবাননের জনগণ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, কারণ পরবর্তী সময়ে আরও হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আন্তর্জাতিক মহল কীভাবে এই উত্তেজনা প্রশমিত করতে পারে এবং এই সংঘাত কতদূর গড়ায়।