ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফের সফল ইসরো (Indian Space Research Organisation) । ইসরোর(ISRO) হাত ধরে মহাকাশে ফের ইতিহাস তৈরি করল ভারত। রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের মতোই বিশ্বের বড় বড় দেশের পাশেই এবার নাম লেখাল ভারত। সাফল্য পেল মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নতুন ভাবনা।
মহাকাশে সংযুক্ত দুই স্যাটেলাইট(ISRO)
গত ১২ জানুয়ারি ১৫ মিটার থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত কাছাকাছি আনার পর মহাকাশ স্টেশন তৈরিতে সাহায্যকারী দুই উপগ্রহকে একই বিন্দু আনার কথা ঘোষণা করে ইসরো(ISRO)। এবার সেই একই বিন্দুতে আনার মিশন বা স্পেস ডকিং প্রক্রিয়ায় সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। মহাকাশে স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংযুক্ত হল ইসরোর দু’টি স্যাটালাইট। রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে এই ভাবনায় সাফল্য লাভ ভারতের। ফলত, মহাকাশে স্টেশন তৈরিতে আরও প্রশস্ত হল ভারতের পথ।
সাফল্যের পর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট ইসরোর(ISRO)
ইসরো(ISRO) নিজেই তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে এই তথ্য সামনে এনেছে। ঐতিহাসিক সাফল্যের পর ইসরোর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানানো হয় যে, ‘ইতিহাস গড়ল ভারত। সফল হল স্পেস ডকিং প্রক্রিয়া। স্পেডেক্স মিশনের আওতায় সফল হল দুই কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যে চলা স্পেস ডকিং প্রক্রিয়া। বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ দেশের স্থান পেল ভারত’।
কী এই ‘স্পেস ডকিং’?
এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। মহাকাশে দুই উপগ্রহকে একই বিন্দুতে অবস্থান করানোর নামই ‘স্পেস ডকিং’। ইসরোর লক্ষ্য ছিল স্পেডেক্স ১ ও স্পেডেক্স ২, এই দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে একত্রিত করা। এদিন স্পেডেক্স ১ ও স্পেডেক্স ২, এই দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে একত্রিত করল ইসরো। ভারতের জন্য যা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এর আগে ১৫ মিটারের দূরত্বে এসেও পিছিয়ে যায় উপগ্রহদুটি। অবশেষে ৩ মিটার দূরত্বে ডকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
কী হবে এই ‘স্পেস ডকিং’-এর মাধ্যমে?
কিন্তু কেন এমন পরিকল্পনা? কী হবে এই ‘স্পেস ডকিং’-এর মাধ্যমে? আসলে ইসরোর লক্ষ্য মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করা। সেই ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’ স্থাপনের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। যা সাহায্য করবে চন্দ্রযান ৪ অভিযানের ক্ষেত্রেও। সাফল্যের সঙ্গে ‘স্পেস ডকিং’ তথা মহাকাশে ‘করমর্দনে’ ভারত চতুর্থ দেশ হল।
আরও পড়ুন: Maha Kumbha 2025: কাঁটার উপর শুয়ে সাধু! মহাকুম্ভে নতুন আকর্ষণ ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’
ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন মোদির
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি ভারতের মহাকাশ গবেষণার জন্য বড় সাফল্য। ভবিষ্যৎকে উন্নত করতে এই মিশন সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।’
শুভেচ্ছা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
ইসরোর এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং-ও। নিজের এক্স মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, ‘‘ডকিং সম্পূর্ণ হল। ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণার অনেক দিক খুলে গেল।’’
ইসরোর এই সাফল্য ভারতের জন্য মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসের নতুন দিক খুলে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।